রবিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১২

"জেলা পরিষদের উন্নয়নে বঞ্চিত সন্দ্বীপ "

নিজস্ব প্রতিনিধি : দ্বীপের আলো
দেশের মুল ভুখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ এলাকা সন্দ্বীপবার বার বঞ্চিত হচ্ছে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের উন্নয়ন বরাদ্দ থেকে । জেলা পরিষদ যেখানেতুলনামুলক­ ভাবে উন্নত জনপদ চট্টগ্রাম-১৪ এর অর্ন্তভুক্ত সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলায় বাস্তবায়ন করেছে ৮ কোটি ৭৯ লক্ষ ৩১ হাজার টাকার ৪১১টি প্রকল্প।আর সেখানে চট্টগ্রাম-১৬(সন­­্দ্বীপ) আসনে ১১২টি প্রকল্পের বিপরীতে বরাদ্দদিয়েছে ৩ কোটি ৬৯লক্ষ ৩ হাজার টাকার উন্নয়ন কাজ। দেশের নুন্যতম নাগরিক সুভিদা থেকে বঞ্চিত এই দ্বীপবাসীর সাথে ও চলছে জেলা পরিষদের এই বৈষ্যমের খেলা । অথচ প্রতি বছর শুধুমাত্র সন্দ্বীপের বিভিন্ন নৌ পথের ঘাট গুলো থেকে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ আয় করছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ।

"দুবাই এর রাস-আল খাইমাতে সন্দ্বীপী প্রবাসীর প্রতারনা !!!!

মো: তৌহিদুল ইসলাম : (রাস-আল খাইমা প্রতিনিধি, দ্বীপের আলো)
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাস আল খাইমার আল জাজিরায় কর্মরত সন্দ্বীপের মুছাপুরের হিরার গো বাড়ীর মো: আলমগীর নামে এক প্রবাসী দীর্ঘ দিন ধরে সেখানে গাড়ীর ড্রাইবার হিসেবে কাজ করে আসছে এর পাশা পাশি কয়েকবছর ধরে সে বিভিন্ন ভিসার ব্যবসার নামে প্রতারনা করে আসছে নিরহ অনেক সন্দ্বীপীর সাথে। খোজ নিয়ে জানা যায় মো: আলমগীর দীর্ঘ দিন ধরে এই ধরনের প্রতারনার সাথে জড়িত হয়ে এক এক সময় এক এক জায়গায় তার কর্মস্থল পরিবর্তন করে যার কারনে প্রতারিত হয়ে নি:স্ব প্রবাসীরা তার কোন অস্তিত্ব খোজে পায় না । সম্প্রতি সে সন্দ্বীপ বাউরিয়া ইউনিয়নের এক যুবকের কাছে ভিসা বিক্রি করে ভিসার কাগজ পত্র বুঝিয়ে না দিয়ে টাকা গুলো নিয়ে পালিয়ে যায়। এর আগে ও সে অনেক সন্দ্বীপীকে ভিসা দিয়ে সে দেশে নিয়ে দিতে পারিনি সে দেশের পতাকা, ও আমিরাতের আইডি কার্ড। যা কারনে অনেকে গোপনে কাজকরে মানবেতর জিবন যাপন করছে। এই বিষয়ে দ্বীপের আলোর রাস আল খাইমাপ্রতিনিধিক­ে মুছাপুর এলাকার এক প্রবাসী জানান তিনি ও এই প্রতারকের হাত ধরে দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়ে ভিসা কিনে এই দেশে এসে কোন পতাকা ও আইডি কার্ড না থাকায় পালিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। যার কারনে পরিবারের জন্য ঠিক মতো টাকাও পাঠাতে পারছেন না । সে জানায় আলমগীর প্রতারনা করেছে এই রকম অনেকের সাথে। প্রতারনার জনরোষ থেকে বাঁচতে সর্ব শেষ তার এক শালা এখান থেকে পালিয়ে গেছে। বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা বন্ধ আছে। ভিসা চালু হলে যারা এই দেশে আসতে চান এই ধরনের প্রতারনার হাত থেকে বাঁচতে প্রবাসী সন্দ্বীপীদের অনুরোধ জেনে শুনে যাতে সবাই ভিসা কিনে এবং ভিসার যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করে আসে।

সোমবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১২

"নিজাম ডাকাত বাহিনীর নেতৃত্বে এবার বাহার কেরানী"

জলদস্যু বাহিনী প্রধান নিজাম ডাকাত বৃহস্পতিবার ভোরে র‌্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার পরদিননতুন দায়িত্ব পেয়েছে দস্যুসম্রাট বাহার কেরানী। বাহার কেরানীর বিরুদ্ধে হাতিয়া, চরজব্বর, মনপুরা, সন্দ্বীপসহ বিভিন্ন থানায় ৩০-৩৫টি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। বাহার কেরানীর নতুন কমান্ডারের দায়িত্ব পাওয়ার খবরচরাঞ্চলে পেঁৗছার সঙ্গে সঙ্গে জেলেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।জানা যায়, বাহার কেরানী হাতিয়া উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম সোনাদিয়া গ্রামের মৃত পাটোয়ারীসরদারের­ ছেলে। বর্তমানে ক্যারিংচরের বাথানখালী গ্রামে তার বাড়ি। সে কখনও লোকালয়ে আসে না; নির্জনে বনবাসে থেকে কাজকর্ম পরিচালনা করে। বাহার কেরানী ২০০৩ সালে বন ও জলদস্যু নিধনের সময় সোলেমান কমান্ডারেরদস্যু­ বাহিনীর সদস্যছিল। পরে নিহত বাসার মাঝি ও নিজাম বাহিনীর সদস্য হিসেবে যোগ দেয়। এখন নিজামের সদস্যদের সংগঠিত করে ও বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে নিজেই গড়ে তোলে শক্তিশালী বিশাল দস্যু বাহিনী। র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিজাম ডাকাত নিহতহওয়ার পর তার রেখে যাওয়া বাহিনীকে সংগঠিত করে তার সেকেন্ড-ইন-কমান­্ড ডাকাত বাহার কেরানী। নিজাম ও বাহার ডাকাতের অত্যাচারে প্রায় ৫০০ ভূমিহীন পরিবার বাস্তুহারা হয়েছে। চাঁদার দাবিতে জেলে ও ভূমিহীনসহ পাঁচ শতাধিক ব্যক্তিকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে।এ ছাড়া তার নেতৃত্বে ৭০টি ধর্ষণ, দুই হাজার বাড়িঘর ভাংচুরও দুই সহস্রাধিক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। দস্যুদের হাতে চরাঞ্চলের প্রায় দুই লাখ ভূমিহীন ও মেঘনা নদীতে প্রায় ৫০ হাজার জেলে জিম্মি।

বুধবার, ২১ নভেম্বর, ২০১২

"ঘূর্নিঝড়ে আক্রান্তদের পাশে দাড়াল সন্দ্বীপ ইউনিক সোসাইটি "

গত ২৬ অক্টোবর সন্দ্বীপ ইউনিক সোসাইটির উদ্দেগ্যে সম্প্রতি সন্দ্বীপের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রলয়ঙ্কারি ঘুর্নিঝডে ক্ষতিগ্রস্থ ৩৫ টি পরিবারের মাঝে দক্ষিণ সারিকাইত ও পশ্চিম মাইটভাংগা ইউনিয়নের বেড়ি বাধ অঞ্ছলে দুর্গতদের মাঝে ত্রান সামগ্রী বিতরন করা হয়। ত্রান সামগ্রীর মধ্যে প্রতিটি পরিবারের মাঝে পাঁছ কেজি চাউল, দুই কেজি আলু, এক কেজি ডাল ও এক কেজি সোয়াবিন তেল বিতরন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সন্দ্বীপ ইউনিক সোসাইটির উপদেষ্ঠা, ও চৌকাতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মাষ্টার কাজি ছারেমুল হক। ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে ত্রান বিতরন কালে প্রধান অতিথি বলেন “সন্দ্বীপের এই রকম দূযোগ মর্হুতে সন্দ্বীপ ইউনিক সোসাইটির মতো স্বেচ্চাসেবী সংগঠনের এগিয়ে আসা সত্যিই প্রসংসার দাবিদার, তিনি আরো বলেনএই সংগঠনের সকল সদস্য এখনো বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়েরশিক্ষাত্রী। তাদের মতো সন্দ্বীপের সকল সামর্থ্যবানদের দু:স্থ মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসা উচিত”। উক্ত ত্রান বিতরন অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সোসাইটির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান স্থায়ী পরিষদের সদস্য কাজি কাইসার হামিদ (মেহরাজ)। সোসাইটির সভাপতি কাজি মেজবাউল হক (মাছুম) এর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সাধারন সম্পাদক কাজি শিহাব উদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল মাওলা, ত্রান ও দূর্যোগবিষয়ক সম্পাদক মমতাজুল হাসান। সোসাইটির সভাপতি কাজী মেজবাউল হক মাছুম বলেন “সন্দ্বীপে ভবিষ্যতে যেকোন ধরনের দূর্যোগেক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পাশে দাড়ানোর জন্য সন্দ্বীপ ইউনিক সোসাইটি একটি ত্রান তহবিল গঠন করেছে, এই জন্য তিনি সন্দ্বীপের বিত্তশালীদেরকে ইউনিক সোসাইটির ত্রান তহবিলকে সমৃদ্ধ করার জন্য উদাত্ত আহবান জানান”। পুরা অনুষ্ঠানটি সঞ্ছালনা করেন সোসাইটির সহ সাধারন সম্পাদক কাজি আব্দুল্ল্যা জুবায়ের। এছাড়া ও সোসাইটির পক্ষ থেকে সারিকাইতের ৪ নং ওয়ার্ড়ের টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত একটি পুরো পরিবারকে স¤পূর্ন চিকিৎসারব্যবস্থা করে। (প্রেস বিজ্ঞপ্তি)

শনিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১২

সন্দ্বীপের ইউনিয়ন পরিষদ গুলোর আস্থা সংকটে পড়েছে চেয়ারম্যানরা

সন্দ্বীপের ইউনিয়ন পরিষদ গুলোর নির্বাচনের এক বছর না যেতেই জনগনের আস্থা সংকটে পড়েছে বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গুলো । পরিষদের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প ও সামাজিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত বরাদ্দ গুলো নিয়ে আছে চরম অভিযোগ । জানা গেছে ইতিমধ্যে বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে সমাজ সেবা অধিদপ্তর থেকে আসা বিভিন্ন ভাতা গুলো বিতরন নিয়ে আছে চরম অভিযোগ । স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার থেকে শুরু করে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পর্যন্ত সকল পর্যায়ে হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতি । সম্প্রতি মগধরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের এক হত দরিদ্র কৃষক এই প্রতিবেদকের কাছে অভিযোগ করেন স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার কে অনুরোধ করে তার নামটি ইউনিয়ন পরিষদের দরিদ্র্য পরিবার কল্যান তহবিলে তুললেও চাউল বিতরনের দিন তিনি পাননি তার চাউল। স্থানীয় ভাবে খবর নিয়ে জানা যায় এভাবে এলাকার মেম্বার গুলো চেয়ারম্যানদের যোগসাজেসে নিজেরাই ভাগ করে নেন এই সব তহবিলের বরাদ্দ গুলো । সরেজমিনে  গিয়ে এই রকম আরো সত্যতা মিলে বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে ।   এছাডা ও রয়েছে গরীব নারীদের বিধবা তহবিলের ভাতা । এই সামাজিক নিরাপত্তা খাতের তহবিলটিতে ও রয়েছে চরম অনিয়মের অভিযোগ । নাম প্রকাশে অনিচ্চুক একজন চেয়ারম্যান জানান পরিষদের কিছু খরচপাতির জন্য অনেক সময় আমরা দুই এক বস্তা চাউল রেখে দিই এতে তেমন কোন সমস্যা হয় না ।

শুক্রবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১২

সাগর কন্যা নিজুম দ্বীপের হাতছানি

নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার
অর্ন্তগত নিঝুম দ্বীপ। একে 'দ্বীপ'
বলা হলেও এটি মূলত একটি 'চর'। নিঝুম
দ্বীপের পূর্ব নাম ছিলো চর-ওসমান।
ওসমান নামের একজন বাথানিয়া তার
মহিষের বাথান নিয়ে প্রথম নিঝুম
দ্বীপে বসত গড়েন। তখন এই নামেই এর
নামকরণ হয়েছিলো। পরে হাতিয়ার
সাংসদ আমিরুল ইসলাম কালাম এই নাম
বদলে নিঝুম দ্বীপ নামকরণ করেন। মূলত
বল্লারচর, চর ওসমান, কামলার চর
এবং চুর মুরি- এই চারটি চর
মিলিয়ে নিঝুম দ্বীপ।
প্রায় ১৪,০০০ একরের দ্বীপটি ১৯৪০
খ্রিস্টাব্দের দিকে জেগে ওঠে। মাছ
ধরতে গিয়ে হাতিয়ার
জেলেরা নিঝুমদ্বীপ আবিস্কার করে।
পঞ্চাশের দশকের
মাঝামাঝি নিঝুমদ্বীপে জনবসতি শুরু
হয়। মূলত হাতিয়ার
জাহাজমারা ইউনিয়ন হতে কিছু
জেলে পরিবার প্রথম নিঝুমদ্বীপে আসে।
নিঝুমদ্বীপ সংলগ্ন এলাকায় প্রচুর
ইছা মাছ (চিংড়ি মাছ)
ধরা পড়তো বিধায় জেলেরা এই দ্বীপের
নাম দেয় ‘‘ইছামতির দ্বীপ’’। এই
দ্বীপটিতে মাঝে মাঝে বালির
ঢিবি বা টিলার মত ছিল বিধায়
স্থানীয় লোকজন এই দ্বীপকে বাইল্যার
ডেইল বলেও ডাকতো।
কালক্রমে ইছামতি দ্বীপ
নামটি হারিয়ে গেলেও স্থানীয়
লোকেরা এখনো এই দ্বীপকে বাইল্যার
ডেইল বলেই সম্বোধন করে।
বাংলাদেশের বনবিভাগ ৭০-এর
দশকে বন বিভাগের কার্যক্রম শুরু করে।
প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে চার
জোড়া হরিণ ছাড়ে। নিঝুম দ্বীপ এখন
হরিণের অভয়ারণ্য। ১৯৯৬
খ্রিস্টাব্দের
হরিণশুমারি অনুযায়ী হরিণের
সংখ্যা ২২,০০০। আইলায় বেশ কিছু হরিণ
মারা গেলেও ধারনা করা হয় এখন নিঝুম
দ্বীপে ৪০ হাজারের বেশি হরিন আছে।
নোনা পানিতে বেষ্টিত নিঝুম দ্বীপ
কেওড়া গাছের অভয়ারণ্য। ম্যানগ্রোভ
বনের মধ্যে সুন্দরবনের পরে নিঝুম
দ্বীপকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম
ম্যানগ্রোভ বন
বলে অনেকে দাবী করেন।
নিঝুম দ্বীপে রয়েছে প্রায় ৩৫
প্রজাতির পাখি। এছাড়াও শীতের
মৌসুমে অজস্র প্রজাতির অতিথির পাখির
অভয়ারণ্যে পরিণত হয় নিঝুম দ্বীপ।
নিঝুম দ্বীপে বিশাল এলাকা পলিমাটির
চর। জোয়ারের
পানিতে ডুবে এবং ভাটা পড়লে শুঁকোয়।
জোয়ারের পানিতে বয়ে আসা বিভিন্ন
প্রজাতির মাছ এদের একমাত্র খাবার।
এখানে রয়েছে মারসৃপারি নামে একধরনের
মাছ যাদেরকে উভচর প্রাণী বলা হয়। ৫
বছর পর্যন্ত বাঁচে এই মারসৃপার, ৬-৯
ইঞ্চি লম্বা হয়। বর্ষা মৌসুমে ইলিশের
জন্য নিঝুম দ্বীপ বিখ্যাত। এই সময়
ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন
অঞ্চলের পাইকাররা নিঝুম দ্বীপে মাছ
কিনতে আসে।। এছাড়া শীত
কিংবা শীতের পরবর্তী মৌসুমে নিঝুম
দ্বীপ চেঁউয়া মাছের জন্য বিখ্যাত।
জেলেরা এই মাছ
ধরে শুঁটকি তৈরি করেন।

বৃহস্পতিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১২

রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও পালাবদলের ক্ষমতায়ন

আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও পালাবদলের ক্ষমতায়ন থেকে জনগন যদি কিছু না শিখে থাকে তাহলে সত্যি আমরা দুর্ভাগা জাতি হিসেবে আবার ও প্রমান করবো । কারন এদেশের প্রধান দুটি দলের ক্ষমতা বৃত্তির পাশে একটি জিনিস খুব কঠিন ভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে দলটি বিরোধী দলে থাকে তখন তাদের একমাত্র কাজ হচ্ছে নিজের সর্বোচ্চ স্বার্থ রক্ষা হয় এমন কাজ ছাড়া আর কোন ত্যাগে তারা রাজি হয় না । আর যে দলটি ক্ষমতায় থাকে তাদের কাজের ফিরিস্তিতো কোন প্রশাসনিক কর্মকান্ডে সংজ্ঞায়িত করা যায় না । যে জিনিসটি সম্প্রতি লক্ষ করলাম তা হল দুই নেত্রী যে খানেই যান না কেন সব জায়গায় যেন তেল মারা আর মনোনয়ন এর রাজনীতি ।  খালেদা জিয়া রামুতে গেলেন সম্প্রতি সমাবেশ করতে আর পুরো চট্টগ্রাম জেলা যেন এক নির্বাচনী আমেজে মেতে উঠল । যেখানে সেখানে নির্বাচনী স্লোগান সম্বলিত ব্যানার ফোষ্টার আর বিশাল বিশাল তোরন । এই বিশাল খরচের পোস্টার ব্যানার গুলো বানানোর একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে নেত্রীর তোষামোদ করে আগামী নির্বাচনে দৃষ্টি আকর্ষন করা । আর এই বিশাল খরচ গুলো তারা কোন রকমে নির্বাচিত হতে পারলে তুলে নিবে চরম দুর্নীতি করে । তাহলে এই দুর্নীতির দায় টা  কি সরাসরি আমাদের উপর এসে পড়ে না । কিসের দেশপ্রেম নিয়ে আমাদের নেত্রীরা মুখের বুলি আওডাচ্ছেন । তা কি সত্যি আমাদের জনগন উপলদ্ধি করতে পারছেনা ? কবে এই মহা জেগে থাকার ঘুম থেকে জেগে উঠবে আমাদের সোনালী বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় মানুষ গুলো ।

সন্দ্বীপের সাবেক এম পি প্রখ্যাত আইনঞ্জীবি এডভোকেট এ কে এম শামসুল হুদার ইন্তেকালে গভীর শোক

সন্দ্বীপের সাবেক এম পি প্রখ্যাত আইনঞ্জীবি এডভোকেট এ কে এম শামসুল হুদার ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সন্দ্বীপ এসোসিয়েশন চট্টগ্রাম, সন্দ্বীপ এডুকেশন সোসাইটি,লায়ন্স ক্লাব অব চিটাগাং সন্দ্বীপ , সন্দ্বীপ কার্গিল হাইস্কুল প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রী পরিষদ , সন্দ্বীপ গন উন্নয়ন পরিষদ , ও সন্দ্বীপ ইউনিক সোসাইটি ,ও সন্দ্বীপের বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন । উল্লেখ্য এডভোকেট শামসুল হুদা সন্দ্বীপ থেকে ১৯৮৬ সালে ও ১৯৮৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ।

"দ্বীপের আলোর সম্পাদকীয়"

"দ্বীপের আলোর সম্পাদকীয় "প্রিয় পাঠক আপনাদের কাছে সন্দ্বীপের খবর পরিবেশন করতে গিয়ে রীতমত অনেক আলোচনা সমালোচনা বিতর্ক ও রাজনৈতিক চাপের মুখামুখি হচ্ছি ।শুধুমাত্র সন্দ্বীপের মানুষের স্বার্থে আমরা প্রতিটি বাধা বিপত্তিকে রেখেছি সকল সত্য আর বিবেক বোধের উদ্ধে । সকল অন্যায় অবিচার আর দুর্নীতি ও সন্দ্বীপের সমস্যা, সম্ভাবনাকে দেশ বিদেশের সন্দ্বীপীদের কাছে অবাধ তথ্য প্রবাহে পৌছে দেওয়াই দ্বীপের আলোর এক মাত্র লক্ষ্য । সম্পুর্ন নিস্বার্থ ভাবে প্রতিনিয়ত চালিয়ে যাওয়া এই প্রচেষ্টাকে আরো বেগবান করেছেন বিশেষত প্রবাসী সন্দ্বীপীরা । সময়ের প্রবাহে আমরা পেয়েছি আমাদের অনেক শুভাকাংখি ও পরামর্শক প্রতিষ্টান যাদের অকৃত্রিম সহযোগিতায় আমাদের এই পথ চলা । সন্দ্বীপের গনমানুষের স্বার্থে আমরা কখনো সমালোচনা করেছি জনপ্রতিনিধিদের আবার কখনোবিশিষ্ট জনদের । আবার কথা বলেছি জনপ্রতিনিধিদের সাফল্য কাহিনি নিয়ে । মাঝে মাঝে কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন আমরা বিশেষ কোন রাজনৈতিক দলের পক্ষ নিয়ে কথা বলেছি । আসলে আমরা যখন যেখানে অনৈতিক , অন্যায় দেখেছি সাথে সাথে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলেছি ।আর এতে অনেকে হয়তো আমাদের সাথে একমত পোষন করতে পারেননি । তার পরেও আমাদের পথ চলা এত টুকু থেমে যায়নি । বরং আমরা পেয়েছি আরো বেশি পাঠক প্রিয়তা । আমাদের খবর পরিবেশনে আমরা চেষ্টা করি বস্তুনিষ্ট গুন বজায় রাখতে । আমরা প্রকাশ করিনি অমুকের ছেলে হয়েছে , অমুকের জন্য -পাত্র পাত্রী চাই এই ধরনের কোন নিউজ । আমরা চাই সন্দ্বীপের মানুষ জানুক সন্দ্বীপের জানার উপযুক্তখবর । আর তারই নীতি ধারন করে আজ আমাদের এতোটুকু পথ চলা । সর্বশেষসবার সুস্বাস্থ ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আল্লাহ হাফেজপ্রধান নির্বাহী , দ্বীপের আলো

বুধবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১২

ভাঙ্গনের কবলে পডে বিলিন হয়ে যাচ্ছে হাজার বছরের প্রাচীন দ্বীপ সন্দ্বীপ ্

ভাঙ্গনের কবলে পডে বিলিন হয়ে যাচ্ছে হাজার বছরের প্রাচীন দ্বীপ সন্দ্বীপ । সন্দ্বীপের এই ভাঙ্গন ঠিক কবে শুরু হয়েছিল তা সঠিকভাবে কেও জানেনা । রাক্ষসী মেঘনার ভাঙ্গনে বিপুল সংখ্যাক পরিবার ভিটা মাটি হারিয়ে নতুন করে বসত খুজে নিয়েছে সন্দ্বীপের বিভিন্ন এলাকায় । কেউ কেউ আবার সন্দ্বীপ ছেড়ে চলে গিয়েছে দেশের বিভিন্ন জায়গায় । ভুমিহিন এইসব হতদরিদ্র মানুষ গুলোর পরিসংখ্যান ও নেই সন্দ্বীপ উপজেলা প্রশাসনে । আবার কেউ কেউ মানবেতর জিবন যাপন করছে সন্দ্বীপের বিভিন্ন অরক্ষিত বেড়ি বাধে ।

বৃহস্পতিবার, ১৪ জুন, ২০১২

সন্দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ভাঙা বেড়িবাঁধ, জোয়ারে ডুবছে লোকালয়

প্রায় দেড় সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন জোয়ারের পানিতে সন্দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের দুই ইউনিয়ন প্লাবিত হচ্ছে। এতে পানিবন্দী হয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এলাকার প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। এলাকার বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত এবং স্লুইসগেট অকার্যকর হয়ে পড়ায় এলাকায় জোয়ারের পানি ঢুকছে। এতে প্রচুর লোনা পানিও রয়েছে বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বেড়িবাঁধ ও স্লুইসগেট সংস্কারে পানি উন্নয়ন বোর্ড সময়মতো উদ্যোগ না নেওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দক্ষিণ সন্দ্বীপের সারিকাইত ও মাইটভাঙা ইউনিয়নসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের বাংলাবাজার ধূপের খাল এলাকার প্রায় ২০০ ফুট অস্থায়ী বাঁধ জোয়ারে ভেঙে গেছে। এই ভাঙা অংশ দিয়ে পানি ঢুকে আশপাশের এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এতে খেতের ফসল, মৎস্য চাষ, বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সারিকাইত ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. ইউনুছ জানান, তাঁর ওয়ার্ডের পুরোটা এবং ২ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কিছু এলাকা প্রতিদিন জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হচ্ছে।
জানা গেছে, বাংলাবাজার স্লুইসগেটসংলগ্ন বেড়িবাঁধের কিছু অংশ আগে থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। বাঁধের কোনো কোনো অংশ ভাঙা ছিল আগে থেকেই। গত বছর ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচির বরাদ্দের টাকা দিয়ে ওই সব ভাঙা অংশে অস্থায়ী (রিং বাঁধ) বাঁধ নির্মাণ করা হয়। ৩ জুন প্রবল স্রোতের মুখে এসব বাঁধ ভেঙে যায়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বেড়িবাঁধটি স্থায়ীভাবে সংস্কারের জন্য প্রচুর সময় পেলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড বিষয়টি তেমন গুরুত্ব দেয়নি। সারিকাইত এলাকার স্লুইসগেট সংস্কারের ব্যাপারেও উদাসীন ছিল সংস্থাটি।
জানা গেছে, স্লুইসগেট সংস্কারের জন্য সম্প্রতি ১৪ লাখ টাকার দরপত্র আহ্বান করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এই মাসের প্রথমদিকে এটি সংস্কারের জন্য কার্যাদেশ পায় বাঁশখালীর ঠিকাদার মেসার্স ই এইচ চৌধুরী। ই এইচ চৌধুরীর পরিচালক এনামুল হক বলেন, ‘আমাদের প্রতিনিধি কাজ শুরু করার দিনই বাঁধ ধসে পড়ায় কাজ বন্ধ রয়েছে। জোয়ারের তীব্রতা কমলে কাজ শুরু করা হবে।’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ওয়ার্ক অর্ডারের পর পরই ঠিকাদার কাজ শুরু করতে চেয়েছিলেন। তাঁর প্রস্তুতির আগেই বাঁধ ধসে পড়ায় তাঁরা কাজ করতে পারেননি।’
সারিকাইত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মালেক জরুরি ভিত্তিতে বেড়িবাঁধ ও স্লুইসগেট সংস্কারের দাবি জানিয়ে বলেন, ‘তা না হলে সারিকাইতসহ আশপাশের এলাকার মানুষের জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়বে।’
জানা যায়, সাম্প্রতিক জোয়ার-ভাটার তাণ্ডবে এলাকার মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এলাকার বেশির ভাগ মানুষ দরিদ্র ও জেলে সম্প্রদায়। তাদের জন্য সরকারিভাবে এখনো কোনো রকম সাহায্য দেওয়া হয়নি।
এলাকাবাসী নতুন বাঁধ নির্মাণের ব্যাপারে জরুরি ভিত্তিতে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন জানিয়েছেন। তা না হলে আগামী দিনে ভাঙন আরও বাড়বে এবং এতে জনদুর্ভোগ ভয়াবহ হয়ে উঠবে বলে তাঁরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর শওকত হোসেন জানান, বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।
সন্দ্বীপ উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান জানান, তিনি বেড়িবাঁধের ভাঙন ও জনগণের অবস্থা দেখেছেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলীকে অনুরোধ করেছেন। প্রধান প্রকৌশলী কয়েক দিনের মধ্যে সন্দ্বীপ আসবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

বুধবার, ২৮ মার্চ, ২০১২

ইউনিক টেলেন্ট কম্পিটিশন-২০১২ সম্পন্ন



একটি জ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষা প্রয়াস এই শ্লোগানকে ধারন করে সন্দ্বীপের ১৪ টি হাই স্কুল ও মাদ্রাসার অংশগ্রহনে গত ১৫ মার্চ “সন্দ্বীপ ইউনিক সোসাইটির” আয়োজনে মুছাপুর বদিউজ্জামান হাই স্কুলে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ইউনিক টেলেন্ট কম্পিটিশন-২০১২। জ্ঞান পিপাসু স্কুল শিক্ষার্থীদের স্বতস্ফ’র্ত অংশ গ্রহনে উক্ত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করে যথাক্রমে বাউরিয়া জি কে একাডেমী, দ্বীপবন্ধু মুস্তাাফিজুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়, জেবেননুর সুলতান উচ্চ বিদ্যালয়, মুছাপুর বদিউজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয়, সন্দ্বীপ পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়, রহমতপুর উচ্চ বিদ্যালয়, পূর্ব সন্দ্বীপ এনাম নাহার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মগধরা উচ্চ বিদ্যালয়, সাউথ সন্দ্বীপ উচ্চ বিদ্যালয়, মাইটভাঙ্গা দ্বী-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়, সন্দ্বীপ কারামতিয়া ফাযিল মাদ্রাসা, সারিকাইত মমতাজুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা, দক্ষিন পূর্ব সন্দ্বীপ উচ্চ বিদ্যালয়, কাজী আফাজ উদ্দিন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়,। টান টান উত্তেজনা আর মেধা মূল্যায়নের ভিত্তিতে উক্ত টেলেন্ট কম্পিটিশনে চ্যাম্পিয়ন টিম হওয়ার গৌরব অর্জন করে মুছাপুর বদিউজ্জামান হাই স্কুল, এবং রানার আপ টিম হওয়ার গৌরব অর্জন করে দক্ষিন পূর্ব সন্দ্বীপ হাই স্কুল, “সন্দ্বীপ ইউনিক সোসাইটির” প্রেসিডেন্ট কাজী কাইসার হামিদের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সন্দ্বীপ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মীর শওকত হোসেন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সন্দ্বীপ উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ইশমত আরা বেগম, মুছাপুর বদিউজ্জামান হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জিল্লুর রহিম,আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন আবুল কাশেম হায়দার মহিলা কলেজের প্রভাষক মুকতাদের আজাদ খান প্রমুখ। আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন জি কে একাডেমীর শিক্ষক বাবু বিধান চন্দ্র দাশ, সাউথ সন্দ্বীপ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো: আয়ুব, কাজী আফাজ উদ্দিন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক গাজী রেফায়েত উল্ল্যা খালেক। সংগঠনের কর্মকান্ড ও ভবিষৎ কর্মসূচী তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন সন্দ্বীপ ইউনিক সোসাইটির সাধারন সম্পাদক কাজী শিহাব উদ্দিন ও সদস্য কাজী তামিমুল হক। প্রতিযোগিতা শেষে প্রতিযোগীদের মাঝে পুরস্কার বিতরন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে সন্দ্বীপের ১৫ টি হাই স্কুল ও মাদ্রাসা মধ্য থেকে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান থেকে একজন সেরা শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এছাড়া ও সন্দ্বীপ ইউনিক সোসাইটির “গরীব ও মেধাবী ছাত্র/ছাত্রী কল্যান তহবিল” হতে মুছাপুর বদিউজ্জামান হাই স্কুলের ১৫ জন গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীর মাঝে পুরো বছরের শিক্ষা উপকরণ বিতরন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠান গুলোর সার্বিক সহযোগিতা করে তাকওয়া প্রপার্টিজ লি: এবং মিড়িয়া পার্টনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে মাসিক সোনালী সন্দ্বীপ। (প্রেস বিজ্ঞপ্তি)

একদিকে প্রকৃতি যেমন গ্রাস করছে সন্দ্বীপকে, অন্যদিকে জলদস্যুতা ও সন্ত্রাস ম্রিয়মান করে দিচ্ছে সন্দ্বীপবাসীর সাফল্যের ইতিহাস।

দেশের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপের জনসংখ্যা প্রায় ৫ লাখ। এর প্রায় দুই লাখই প্রবাসী। যার সিংহভাগই ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত রাষ্ট্র ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। নদী ও সাগরের ভাঙন-প্রবন এ দ্বীপের অধিকাংশই এখন সাগরের জলে হারিয়ে গেছে। তবু অদম্য মানুষগুলো সব হারিয়েও বাঁচার আশা ছাড়েনি। তারা পাড়ি জমিয়েছে চট্টগ্রামের হালিশহর, ঢাকাসহ দেশের নানা প্রান্তে। এসব মানুষ শিকড়ের টানে ফিরতে চায় প্রিয় মাতৃভূমিতে। কিন্তু সন্ত্রাস আর জলদস্যুর উৎপাতে তারা অসহায়।

সন্দ্বীপের সংসদ সদস্যের ভাষ্যমতে, দেশে প্রবাসীদের কাছ থেকে যে রেমিট্যান্স আসে তার ১১ ভাগই আসে সন্দ্বীপে। অথচ এখানকার মানুষ সবদিক থেকে অবহেলিত।

কয়েকজন স্কুলশিক্ষক জানালেন, একদিকে প্রকৃতি যেমন গ্রাস করছে সন্দ্বীপকে, অন্যদিকে জলদস্যুতা ও সন্ত্রাস ম্রিয়মান করে দিচ্ছে সন্দ্বীপবাসীর সাফল্যের ইতিহাস।

বাংলাবাজার এলাকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে সাগরে বসতবাড়ি হারানো দেড় হাজার জেলে পরিবার। গভীর সাগরের বুকে মাছ ধরাই তাদের একমাত্র পেশা। কিন্তু গত দেড় মাস ধরে তারা সাগরে যেতে পারছে না জলদস্যুর ভয়ে। এমনকি সন্দ্বীপে প্রবেশের ঘাটগুলোর নিয়ন্ত্রণ ও এসব সন্ত্রাসী জলদস্যুর হাতে। এখন নতুন ব্যাধি হিসেবে দেখা দিয়েছে মাদকের ব্যবহার। ধুপেরখাল ঘাট, সোয়াখালি ঘাট, গুপ্তচরা ঘাট দিয়ে অবাধে আসছে হেরোইন, ফেনসিডিল, মদ ইত্যাদি।

ফখর ইসলাম, মোহাম্মদ শাহাবুদ্দীন, সুফিয়ান, মহসিন, নাজিম উদ্দিন আলম, আজিজ সওদাগরদের মতো অনেকেই জানালেন, জেলেদের মধ্যেই আছে জলদস্যুদের এজেন্ট। এছাড়া সচ্ছল ব্যক্তি ও জনপ্রতিনিধিরাও কাজ করেন জলদস্যুদের এজেন্ট হিসেবে।

তারা বলেন, ‘কোস্টগার্ডকে এসব বললে কোনো কাজ হয় না। অনেক সময় কোস্টগার্ডের সামনেই নৌকা ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। তখন কোস্টগার্ড উল্টো জেলে নৌকার লাইসেন্স পরীক্ষার নামে সময়ক্ষেপণ করে দস্যুদের পালিয়ে যেতে সহায়তা করে।’

স্থানীয় সংসদ সদস্য মোস্তফা কামাল পাশা ও সন্দ্বীপ উপজেলা চেয়ারম্যান মাস্টার শাজাহানের অভিযোগ, ‘শুনেছি প্রশাসন ও কোস্টগার্ড জলদস্যুদের সহায়তা করে।’

এ বিষয়ে কোস্টগার্ডের চট্টগ্রাম অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রধান ক্যাপটেন জাবেদ ইকবাল বাংলানিউজকে বলেন, ‘এ অঞ্চলে কে জলদস্যু আর কে সাধারণ জেলে তা বোঝা খুব কঠিন। তাছাড়া সব সময় জেলেরাও সঠিক তথ্য দেয় না। জলদস্যুদের সনাক্ত করতেই লাইসেন্স পরীক্ষা করা হয়।’

তিনি বলেন, ‘র‌্যাবকে যে ধরনের ক্ষমতা দেওয়া আছে তাতে তারা যেভাবে অভিযান চালাতে পারে, আমরা সেভাবে পারি না। তবে সমন্বিত অভিযানের মাধ্যমে জলদস্যু দমনের চেষ্টা চলছে।’

তিনি বলেন, ‘কোস্টগার্ড অনেক সময় সোর্স ব্যবহার করে। সোর্স হয়ত জলদস্যু হতে পারে। কিন্তু তাদের নিয়ে যখন সবার সামনে যাওয়া হয়, তখন তো কেউ বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন না।’

এ বিষয়ে সকলের সাহযোগিতা চান তিনি।
(source:বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম)

সন্দ্বীপের পশ্চিমে মেঘনা নদীর মোহনায় জেগে ওঠা চর ‘জাহাইজ্জার চর’ বর্তমানে জলদস্যুদের নেতৃত্বে আছেন নোয়াখালীর সুবর্ণচরের নিজাম চৌধুরী

সন্দ্বীপের পশ্চিমে মেঘনা নদীর মোহনায় জেগে ওঠা চর ‘জাহাইজ্জার চর’। ১০ বছর আগে জেগে ওঠা এ চরের আয়তন আনুমানিক ২০০ বর্গ মাইল। যা প্রতিবছরই বাড়ছে। পুরো চরের ৯০ ভাগই ঘন ম্যানগ্রোভ জঙ্গল। কেওড়া, গেওয়া, লোনা গাছের সঙ্গে আছে স্থানীয় জাতের কাঁটাজাতীয় ও গুল্ম জাতের গভীর প্যারাবন। জনমানবহীন এ জঙ্গলের মালিকানার দাবি চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ এবং নোয়াখালীর হাতিয়ার।

কিন্তু চরের চারপাশে কাদা এবং গাছের শুল থাকায় কোনো জেলার প্রশাসনই যেতে পারে না এ চরে। ফলে এ সুযোগ লুফে নিয়েছে এ এলাকার জলদস্যুরা। এ চরে সদরদফতর স্থাপন করে দস্যুরা শাসন করছে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ভোলা জেলার বিস্তীর্ণ উপকূল ও সাগর এবং মেঘনার বুকে জেগে ওঠা বিশাল চরাঞ্চল।

বর্তমানে জলদস্যুদের নেতৃত্বে আছেন নোয়াখালীর সুবর্ণচরের নিজাম চৌধুরী। তার বাহিনীর নাম নিজাম বাহিনী। এ বাহিনী এখান থেকেই নিয়ন্ত্রণ করে বয়ার চর, ঢালচর, উড়িরচর, ক্যারিং চর, চর বাসার, চর ইসলাম, চর কালাম, ঠাঙ্গারচর, নিঝুম দ্বীপ, চর এলাহী, সুবর্ণচর, সন্দ্বীপ, হাতিয়া, মনপুরাসহ চট্টগ্রাম, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল।

বাহিনীপ্রধান নিজামের ভাষ্য অনুয়ায়ী, বর্তমানে নিজামের আশ্রয়দাতা হাতিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য এবং আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেতা মোহাম্মদ আলী।

মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে জলদস্যুদের মদদ দেওয়ার অভিযোগ করেছেন সন্দ্বীপের সংসদ সদস্য মোস্তফা কামাল পাশা, হাতিয়ার সংসদ সদস্য ফজলুল আজিমসহ এ অঞ্চলের জনপ্রতিনিধি এবং সাধারণ মানুষরা। তবে চারদলীয় সরকারের আমলে ওই সংসদ সদস্যরা আগের বাহিনীগুলোকে মদদ দিয়েছে বলেও দাবি সাধারণের।

এ বাহিনীর প্রতিদ্বন্দ্বী বাহিনী হিসেবে সন্দ্বীপের খোকাবাহিনীকে মদদ দেওয়ার অভিযোগ আছে ফজলুল আজিম এমপি, মোস্তফা কামাল পাশা এমপি, সাবেক আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদ, নোয়াখালীর সংসদ সদস্য একরামুল হক চৌধুরী, বিএনপি নেতা বরকত উল্লাহ বুলুর বিরুদ্ধে।

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এ বিষয়ে বাংলানিউজকে টেলিফোনে বলেন, ‘আমি এখন নির্বাচনী এলাকায় আছি। তাই এ বিষয়ে এখন কথা বলা সম্ভব নয়। দুইদিন পর বিস্তারিত কথা বলব।’

বরকতুল্লাহ বুলু ও একরামুল হক চৌধুরীর সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি। মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে গত এক সপ্তাহ ধরে টেলিফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি তিনি কল রিসিভ করেননি।

তবে ফজলুল আজিম এমপি অভিযোগ অস্বীকার করে মোহম্মদ আলীকেই জলদস্যুর গডফাদার হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

জাহাইজ্জার চরের গহীনে রয়েছে নিজাম বাহিনীর সদর দফতার। বিদ্যুতের জন্য এখানে স্থাপন করা হয়েছে সোলার প্যানেল, সঙ্গে আছে জেনারেটর। সন্দ্বীপের সংসদ সদস্যের দাবি, এ চরে জলদস্যুদের কাছে আছে অত্যাধুনিক লেদ মেশিন। অস্ত্র তৈরির কারখানা। জলদস্যুদের আশ্রয় ও বিশ্রামকেন্দ্র, অস্ত্রাগার ও হাজতখানা।

গহীন জঙ্গলে এ সদরদফতর হওয়ায় ওপর থেকে হেলিকপ্টারেও এসব স্থাপনার অস্তিত্ব ঠাহর করা যায় না বলে দাবি হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আক্তার হোসেনের।

তবে স্থানীয়দের অভিযোগ— প্রশাসন, কোস্টগার্ড, নৌ-বাহিনী, র‌্যাব, পুলিশ, জনপ্রতিনিধি কেউই যেতে চান না এ চরে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত অধিকাংশেরই দাবি দুর্গম এলাকা হওয়ায় বিশাল এ অরণ্যে প্রবেশ কারো জন্যই সুখকর নয়। তাছাড়া এ চরের চারপাশের বেশিরভাগ অংশে এক থেকে তিন কিলোমিটার পর্যন্ত গভীর কাদা থাকায় অল্প সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের অভিযানও ফলপ্রসূ হয় না।

ভয়ংকর নিজাম বাহিনীর সদস্যরা এ চরে নৌপথে যাতায়াত করা ছোট নৌযান এবং নৌযানের মানুষদের আটক করে নিয়ে আসে চরের গহীনে। এরপর আটককৃতদের মোবাইল ফোন থেকে কল দেওয়া হয় আটককৃতদের পরিবারের কাছে। দাবি করা হয় বিপুল অংকের মুক্তিপণ। আটককৃতদের শরীর থেকে খুলে নেওয়া হয় কাপড়। টাকা দিতে অস্বীকার করলে যে কোনো একজনকে দিয়ে পরিবারের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলতে দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয় আটককৃতদের। এরপর বাকিদের টাকা দিয়ে ছাড়িয়ে নেয় পরিবারের সদস্যরা।

এ কাজে মধ্যস্থতা করেন সন্দ্বীপ এবং হাতিয়ার জনপ্রতিনিধিসহ বিশিষ্টজনেরা। এইসব ভদ্র জলদস্যু এজেন্ট সম্পর্কে মুখ খোলেন না কেউই। স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, স্থানীয় সাংবাদিক, প্রশাসন, জেলে সর্দার, দাদনদাতা, ইউপি চেয়ারম্যান এমনকি ভুক্তভোগী জেলে, সবার মুখেই একই গল্প।

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে দেশের অভ্যন্তরীণ নৌরুটে চলাচলকারী মালবাহী (কার্গো) জাহাজের চলচলকারী রুট জাহাইজ্জার চর এবং চর ইসলামামের মধ্যকার সন্দ্বীপ চ্যানেল। এ পথে প্রতিদিন ৩ শতাধিক জাহাজ চলাচল করে। প্রতিটি জাহাজকেই নিজাম বাহিনীকে চাঁদা দিয়ে চলাচল করতে হয়।

এ ছাড়া বঙ্গপোসাগরের মোহনা হওয়ায় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার জেলেনৌকা এ এলাকায় মাছ ধরতে আসে। এসব নৌকাকে জলদস্যুদের কাছ থেকে ১০ হাজার ২০০ টাকা দিয়ে সংগ্রহ করতে হয় স্পেশাল পাস। এ কাজে সহায়ক ভূমিকা রাখে স্থানীয় এজেন্ট এবং এক শ্রেণীর জেলে।

প্রায় সকলেরই ধারণা, এ এলাকায় কেবল জেলে এবং জাহাজগুলো থেকেই নিজাম বাহিনী প্রতিদিন তিন থেকে ৫ লাখ টাকা আয় করে থাকে। পারমিট না নেওয়া সকল জেলেকেই আক্রমণে পড়তে হয় নিজাম বাহিনীর। এমন দুটি নৌকা এখনো আটক আছে জাহাইজ্জার চরে। সন্দ্বীপের বাংলাবাজার এলাকার জেলে জামসেদ সওদাগর এবং দিদার সওদাগর টাকা দিতে না পারায় তাদের নৌকা এবং ১২ জেলে আটক আছে নিজাম বাহিনীর কাছে।

একই সঙ্গে আটক নকুল জলদাস ৮০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন। তবে আটক থাকার সময়ে সইতে হয়েছে অমানুষিক নির্যাতন। নকুলকে ছাড়াতে মধ্যস্থতা করেন একজন জনপ্রতিনিধি। টাকা লেনদেন হয় সন্দ্বীপ পৌরসভা কমপ্লেক্সে।

সন্দ্বীপের সংসদ সদস্য মোস্তফা কামাল পাশা বাংলানিউজকে বলেন, ‘জাহাইজ্জার চর, উড়িরচর শুরু থেকেই জলদস্যুদের দখলে। এখানে প্রশাসন চলে না। হাতিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী এদের নিয়ন্ত্রণ করেন। মেঘনার এ মোহনা থেকে জলদস্যুরা দৈনিক ৫ লাখ টাকা আদায় করে।’

তিনি বলেন, ‘জলদস্যুদের সবাই লিডারের বেতনভুক্ত কর্মচারী। পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্ধষ সন্ত্রাসী, পাহাড়ি দুর্বৃত্ত, পলাতক বিডিআর (বিজিবি) সদস্য, উপকূলীয় বিভিন্ন বিলুপ্ত বাহিনীর সদস্যরা এখন জাহাইজ্জার চরে নিজামের সঙ্গে আছে।’

নিজাম বাহিনীর এক সদস্য বাংলানিউজকে বলেন, ‘চরের চারপাশে আছে তাদের টলহল বাহিনী। এরা ছোট ছোট মাছ ধরার নৌকা নিয়ে জেলেবেসে টহল চালায়। চরের মধ্যে গাছের ওপর মাচা বেঁধে বানানো হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার।’

নিজামের সেকেন্ড ইন কমান্ড বাহার কেরানী বলেন, ‘চৌধুরী সাবের জন্য জাহাইজ্জার চর সবচেয়ে নিরাপদ।’

তিনি বলেন, ‘এখানে বিস্তীর্ণ বন ও কাদা থাকায় প্রশাসন এবং প্রতিপক্ষ বাহিনী সহজে হামলা চালাতে পারে না। তাছাড়া কেউ এ চরে নামলে টহল বাহিনী এবং ওয়াচ টাওয়ারের সংবাদের ভিত্তিতে তা হেড কোয়ার্টারে পৌঁছে দেওয়া হয় এবং চৌধুরীসাবসহ সবাই সহজেই পালাতে পারে।’

তিনি আরো বলেন, ‘জাহাইজ্জার চরে বর্তমানে আমাদের ৫ লক্ষাধিক গরু ও মহিষ রয়েছে। সেগুলো রক্ষা করতেও আমাদের এখানে থাকতে হয়।’

নিজাম বাহিনীর হাতে বর্তমানে হাতিয়া থেকে ছিনতাই করা একটি অত্যাধুনিক স্পিডবোট, কয়েকটি ইঞ্জিননৌকা এবং কয়েকটি মোটরসাইকেল রয়েছে। যা দিয়ে সহজেই গাঢাকা দেওয়া সম্ভব।

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘এ চরে অভিযান চালানো একটি ব্যয়বহুল ব্যাপার। ২০/৫০ জন ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে এদের ধরাও অসম্ভব। কেবলমাত্র এ ধরনের চরে একসঙ্গে সমন্বিত অভিযান চালিয়ে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির মাধ্যমেই এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।’

(source:বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম)