প্রায় দেড় সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন জোয়ারের পানিতে সন্দ্বীপের
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের দুই ইউনিয়ন প্লাবিত হচ্ছে। এতে পানিবন্দী হয়ে দুর্ভোগ
পোহাচ্ছেন এলাকার প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। এলাকার বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত এবং স্লুইসগেট অকার্যকর হয়ে পড়ায় এলাকায় জোয়ারের পানি ঢুকছে। এতে প্রচুর লোনা পানিও রয়েছে বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বেড়িবাঁধ ও স্লুইসগেট সংস্কারে পানি উন্নয়ন বোর্ড সময়মতো উদ্যোগ না নেওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দক্ষিণ সন্দ্বীপের সারিকাইত ও মাইটভাঙা ইউনিয়নসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের বাংলাবাজার ধূপের খাল এলাকার প্রায় ২০০ ফুট অস্থায়ী বাঁধ জোয়ারে ভেঙে গেছে। এই ভাঙা অংশ দিয়ে পানি ঢুকে আশপাশের এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এতে খেতের ফসল, মৎস্য চাষ, বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সারিকাইত ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. ইউনুছ জানান, তাঁর ওয়ার্ডের পুরোটা এবং ২ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কিছু এলাকা প্রতিদিন জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হচ্ছে।
জানা গেছে, বাংলাবাজার স্লুইসগেটসংলগ্ন বেড়িবাঁধের কিছু অংশ আগে থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। বাঁধের কোনো কোনো অংশ ভাঙা ছিল আগে থেকেই। গত বছর ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচির বরাদ্দের টাকা দিয়ে ওই সব ভাঙা অংশে অস্থায়ী (রিং বাঁধ) বাঁধ নির্মাণ করা হয়। ৩ জুন প্রবল স্রোতের মুখে এসব বাঁধ ভেঙে যায়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বেড়িবাঁধটি স্থায়ীভাবে সংস্কারের জন্য প্রচুর সময় পেলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড বিষয়টি তেমন গুরুত্ব দেয়নি। সারিকাইত এলাকার স্লুইসগেট সংস্কারের ব্যাপারেও উদাসীন ছিল সংস্থাটি।
জানা গেছে, স্লুইসগেট সংস্কারের জন্য সম্প্রতি ১৪ লাখ টাকার দরপত্র আহ্বান করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এই মাসের প্রথমদিকে এটি সংস্কারের জন্য কার্যাদেশ পায় বাঁশখালীর ঠিকাদার মেসার্স ই এইচ চৌধুরী। ই এইচ চৌধুরীর পরিচালক এনামুল হক বলেন, ‘আমাদের প্রতিনিধি কাজ শুরু করার দিনই বাঁধ ধসে পড়ায় কাজ বন্ধ রয়েছে। জোয়ারের তীব্রতা কমলে কাজ শুরু করা হবে।’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ওয়ার্ক অর্ডারের পর পরই ঠিকাদার কাজ শুরু করতে চেয়েছিলেন। তাঁর প্রস্তুতির আগেই বাঁধ ধসে পড়ায় তাঁরা কাজ করতে পারেননি।’
সারিকাইত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মালেক জরুরি ভিত্তিতে বেড়িবাঁধ ও স্লুইসগেট সংস্কারের দাবি জানিয়ে বলেন, ‘তা না হলে সারিকাইতসহ আশপাশের এলাকার মানুষের জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়বে।’
জানা যায়, সাম্প্রতিক জোয়ার-ভাটার তাণ্ডবে এলাকার মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এলাকার বেশির ভাগ মানুষ দরিদ্র ও জেলে সম্প্রদায়। তাদের জন্য সরকারিভাবে এখনো কোনো রকম সাহায্য দেওয়া হয়নি।
এলাকাবাসী নতুন বাঁধ নির্মাণের ব্যাপারে জরুরি ভিত্তিতে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন জানিয়েছেন। তা না হলে আগামী দিনে ভাঙন আরও বাড়বে এবং এতে জনদুর্ভোগ ভয়াবহ হয়ে উঠবে বলে তাঁরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর শওকত হোসেন জানান, বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।
সন্দ্বীপ উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান জানান, তিনি বেড়িবাঁধের ভাঙন ও জনগণের অবস্থা দেখেছেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলীকে অনুরোধ করেছেন। প্রধান প্রকৌশলী কয়েক দিনের মধ্যে সন্দ্বীপ আসবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বেড়িবাঁধ ও স্লুইসগেট সংস্কারে পানি উন্নয়ন বোর্ড সময়মতো উদ্যোগ না নেওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দক্ষিণ সন্দ্বীপের সারিকাইত ও মাইটভাঙা ইউনিয়নসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের বাংলাবাজার ধূপের খাল এলাকার প্রায় ২০০ ফুট অস্থায়ী বাঁধ জোয়ারে ভেঙে গেছে। এই ভাঙা অংশ দিয়ে পানি ঢুকে আশপাশের এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এতে খেতের ফসল, মৎস্য চাষ, বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সারিকাইত ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. ইউনুছ জানান, তাঁর ওয়ার্ডের পুরোটা এবং ২ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কিছু এলাকা প্রতিদিন জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হচ্ছে।
জানা গেছে, বাংলাবাজার স্লুইসগেটসংলগ্ন বেড়িবাঁধের কিছু অংশ আগে থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। বাঁধের কোনো কোনো অংশ ভাঙা ছিল আগে থেকেই। গত বছর ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচির বরাদ্দের টাকা দিয়ে ওই সব ভাঙা অংশে অস্থায়ী (রিং বাঁধ) বাঁধ নির্মাণ করা হয়। ৩ জুন প্রবল স্রোতের মুখে এসব বাঁধ ভেঙে যায়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বেড়িবাঁধটি স্থায়ীভাবে সংস্কারের জন্য প্রচুর সময় পেলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড বিষয়টি তেমন গুরুত্ব দেয়নি। সারিকাইত এলাকার স্লুইসগেট সংস্কারের ব্যাপারেও উদাসীন ছিল সংস্থাটি।
জানা গেছে, স্লুইসগেট সংস্কারের জন্য সম্প্রতি ১৪ লাখ টাকার দরপত্র আহ্বান করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এই মাসের প্রথমদিকে এটি সংস্কারের জন্য কার্যাদেশ পায় বাঁশখালীর ঠিকাদার মেসার্স ই এইচ চৌধুরী। ই এইচ চৌধুরীর পরিচালক এনামুল হক বলেন, ‘আমাদের প্রতিনিধি কাজ শুরু করার দিনই বাঁধ ধসে পড়ায় কাজ বন্ধ রয়েছে। জোয়ারের তীব্রতা কমলে কাজ শুরু করা হবে।’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ওয়ার্ক অর্ডারের পর পরই ঠিকাদার কাজ শুরু করতে চেয়েছিলেন। তাঁর প্রস্তুতির আগেই বাঁধ ধসে পড়ায় তাঁরা কাজ করতে পারেননি।’
সারিকাইত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মালেক জরুরি ভিত্তিতে বেড়িবাঁধ ও স্লুইসগেট সংস্কারের দাবি জানিয়ে বলেন, ‘তা না হলে সারিকাইতসহ আশপাশের এলাকার মানুষের জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়বে।’
জানা যায়, সাম্প্রতিক জোয়ার-ভাটার তাণ্ডবে এলাকার মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এলাকার বেশির ভাগ মানুষ দরিদ্র ও জেলে সম্প্রদায়। তাদের জন্য সরকারিভাবে এখনো কোনো রকম সাহায্য দেওয়া হয়নি।
এলাকাবাসী নতুন বাঁধ নির্মাণের ব্যাপারে জরুরি ভিত্তিতে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন জানিয়েছেন। তা না হলে আগামী দিনে ভাঙন আরও বাড়বে এবং এতে জনদুর্ভোগ ভয়াবহ হয়ে উঠবে বলে তাঁরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর শওকত হোসেন জানান, বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।
সন্দ্বীপ উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান জানান, তিনি বেড়িবাঁধের ভাঙন ও জনগণের অবস্থা দেখেছেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলীকে অনুরোধ করেছেন। প্রধান প্রকৌশলী কয়েক দিনের মধ্যে সন্দ্বীপ আসবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন