দেশের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপের জনসংখ্যা প্রায় ৫
লাখ। এর প্রায় দুই লাখই প্রবাসী। যার সিংহভাগই ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত
রাষ্ট্র ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। নদী ও সাগরের ভাঙন-প্রবন এ দ্বীপের
অধিকাংশই এখন সাগরের জলে হারিয়ে গেছে। তবু অদম্য মানুষগুলো সব হারিয়েও
বাঁচার আশা ছাড়েনি। তারা পাড়ি জমিয়েছে চট্টগ্রামের হালিশহর, ঢাকাসহ দেশের
নানা প্রান্তে। এসব মানুষ শিকড়ের টানে ফিরতে চায় প্রিয় মাতৃভূমিতে। কিন্তু সন্ত্রাস আর জলদস্যুর উৎপাতে তারা অসহায়।
সন্দ্বীপের সংসদ সদস্যের ভাষ্যমতে, দেশে প্রবাসীদের কাছ থেকে যে রেমিট্যান্স আসে তার ১১ ভাগই আসে সন্দ্বীপে। অথচ এখানকার মানুষ সবদিক থেকে অবহেলিত।
কয়েকজন স্কুলশিক্ষক জানালেন, একদিকে প্রকৃতি যেমন গ্রাস করছে সন্দ্বীপকে, অন্যদিকে জলদস্যুতা ও সন্ত্রাস ম্রিয়মান করে দিচ্ছে সন্দ্বীপবাসীর সাফল্যের ইতিহাস।
বাংলাবাজার এলাকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে সাগরে বসতবাড়ি হারানো দেড় হাজার জেলে পরিবার। গভীর সাগরের বুকে মাছ ধরাই তাদের একমাত্র পেশা। কিন্তু গত দেড় মাস ধরে তারা সাগরে যেতে পারছে না জলদস্যুর ভয়ে। এমনকি সন্দ্বীপে প্রবেশের ঘাটগুলোর নিয়ন্ত্রণ ও এসব সন্ত্রাসী জলদস্যুর হাতে। এখন নতুন ব্যাধি হিসেবে দেখা দিয়েছে মাদকের ব্যবহার। ধুপেরখাল ঘাট, সোয়াখালি ঘাট, গুপ্তচরা ঘাট দিয়ে অবাধে আসছে হেরোইন, ফেনসিডিল, মদ ইত্যাদি।
ফখর ইসলাম, মোহাম্মদ শাহাবুদ্দীন, সুফিয়ান, মহসিন, নাজিম উদ্দিন আলম, আজিজ সওদাগরদের মতো অনেকেই জানালেন, জেলেদের মধ্যেই আছে জলদস্যুদের এজেন্ট। এছাড়া সচ্ছল ব্যক্তি ও জনপ্রতিনিধিরাও কাজ করেন জলদস্যুদের এজেন্ট হিসেবে।
তারা বলেন, ‘কোস্টগার্ডকে এসব বললে কোনো কাজ হয় না। অনেক সময় কোস্টগার্ডের সামনেই নৌকা ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। তখন কোস্টগার্ড উল্টো জেলে নৌকার লাইসেন্স পরীক্ষার নামে সময়ক্ষেপণ করে দস্যুদের পালিয়ে যেতে সহায়তা করে।’
স্থানীয় সংসদ সদস্য মোস্তফা কামাল পাশা ও সন্দ্বীপ উপজেলা চেয়ারম্যান মাস্টার শাজাহানের অভিযোগ, ‘শুনেছি প্রশাসন ও কোস্টগার্ড জলদস্যুদের সহায়তা করে।’
এ বিষয়ে কোস্টগার্ডের চট্টগ্রাম অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রধান ক্যাপটেন জাবেদ ইকবাল বাংলানিউজকে বলেন, ‘এ অঞ্চলে কে জলদস্যু আর কে সাধারণ জেলে তা বোঝা খুব কঠিন। তাছাড়া সব সময় জেলেরাও সঠিক তথ্য দেয় না। জলদস্যুদের সনাক্ত করতেই লাইসেন্স পরীক্ষা করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘র্যাবকে যে ধরনের ক্ষমতা দেওয়া আছে তাতে তারা যেভাবে অভিযান চালাতে পারে, আমরা সেভাবে পারি না। তবে সমন্বিত অভিযানের মাধ্যমে জলদস্যু দমনের চেষ্টা চলছে।’
তিনি বলেন, ‘কোস্টগার্ড অনেক সময় সোর্স ব্যবহার করে। সোর্স হয়ত জলদস্যু হতে পারে। কিন্তু তাদের নিয়ে যখন সবার সামনে যাওয়া হয়, তখন তো কেউ বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন না।’
এ বিষয়ে সকলের সাহযোগিতা চান তিনি।
(source:বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর. কম)
সন্দ্বীপের সংসদ সদস্যের ভাষ্যমতে, দেশে প্রবাসীদের কাছ থেকে যে রেমিট্যান্স আসে তার ১১ ভাগই আসে সন্দ্বীপে। অথচ এখানকার মানুষ সবদিক থেকে অবহেলিত।
কয়েকজন স্কুলশিক্ষক জানালেন, একদিকে প্রকৃতি যেমন গ্রাস করছে সন্দ্বীপকে, অন্যদিকে জলদস্যুতা ও সন্ত্রাস ম্রিয়মান করে দিচ্ছে সন্দ্বীপবাসীর সাফল্যের ইতিহাস।
বাংলাবাজার এলাকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে সাগরে বসতবাড়ি হারানো দেড় হাজার জেলে পরিবার। গভীর সাগরের বুকে মাছ ধরাই তাদের একমাত্র পেশা। কিন্তু গত দেড় মাস ধরে তারা সাগরে যেতে পারছে না জলদস্যুর ভয়ে। এমনকি সন্দ্বীপে প্রবেশের ঘাটগুলোর নিয়ন্ত্রণ ও এসব সন্ত্রাসী জলদস্যুর হাতে। এখন নতুন ব্যাধি হিসেবে দেখা দিয়েছে মাদকের ব্যবহার। ধুপেরখাল ঘাট, সোয়াখালি ঘাট, গুপ্তচরা ঘাট দিয়ে অবাধে আসছে হেরোইন, ফেনসিডিল, মদ ইত্যাদি।
ফখর ইসলাম, মোহাম্মদ শাহাবুদ্দীন, সুফিয়ান, মহসিন, নাজিম উদ্দিন আলম, আজিজ সওদাগরদের মতো অনেকেই জানালেন, জেলেদের মধ্যেই আছে জলদস্যুদের এজেন্ট। এছাড়া সচ্ছল ব্যক্তি ও জনপ্রতিনিধিরাও কাজ করেন জলদস্যুদের এজেন্ট হিসেবে।
তারা বলেন, ‘কোস্টগার্ডকে এসব বললে কোনো কাজ হয় না। অনেক সময় কোস্টগার্ডের সামনেই নৌকা ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। তখন কোস্টগার্ড উল্টো জেলে নৌকার লাইসেন্স পরীক্ষার নামে সময়ক্ষেপণ করে দস্যুদের পালিয়ে যেতে সহায়তা করে।’
স্থানীয় সংসদ সদস্য মোস্তফা কামাল পাশা ও সন্দ্বীপ উপজেলা চেয়ারম্যান মাস্টার শাজাহানের অভিযোগ, ‘শুনেছি প্রশাসন ও কোস্টগার্ড জলদস্যুদের সহায়তা করে।’
এ বিষয়ে কোস্টগার্ডের চট্টগ্রাম অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রধান ক্যাপটেন জাবেদ ইকবাল বাংলানিউজকে বলেন, ‘এ অঞ্চলে কে জলদস্যু আর কে সাধারণ জেলে তা বোঝা খুব কঠিন। তাছাড়া সব সময় জেলেরাও সঠিক তথ্য দেয় না। জলদস্যুদের সনাক্ত করতেই লাইসেন্স পরীক্ষা করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘র্যাবকে যে ধরনের ক্ষমতা দেওয়া আছে তাতে তারা যেভাবে অভিযান চালাতে পারে, আমরা সেভাবে পারি না। তবে সমন্বিত অভিযানের মাধ্যমে জলদস্যু দমনের চেষ্টা চলছে।’
তিনি বলেন, ‘কোস্টগার্ড অনেক সময় সোর্স ব্যবহার করে। সোর্স হয়ত জলদস্যু হতে পারে। কিন্তু তাদের নিয়ে যখন সবার সামনে যাওয়া হয়, তখন তো কেউ বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন না।’
এ বিষয়ে সকলের সাহযোগিতা চান তিনি।
(source:বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন