সোমবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১২

"নিজাম ডাকাত বাহিনীর নেতৃত্বে এবার বাহার কেরানী"

জলদস্যু বাহিনী প্রধান নিজাম ডাকাত বৃহস্পতিবার ভোরে র‌্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার পরদিননতুন দায়িত্ব পেয়েছে দস্যুসম্রাট বাহার কেরানী। বাহার কেরানীর বিরুদ্ধে হাতিয়া, চরজব্বর, মনপুরা, সন্দ্বীপসহ বিভিন্ন থানায় ৩০-৩৫টি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। বাহার কেরানীর নতুন কমান্ডারের দায়িত্ব পাওয়ার খবরচরাঞ্চলে পেঁৗছার সঙ্গে সঙ্গে জেলেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।জানা যায়, বাহার কেরানী হাতিয়া উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম সোনাদিয়া গ্রামের মৃত পাটোয়ারীসরদারের­ ছেলে। বর্তমানে ক্যারিংচরের বাথানখালী গ্রামে তার বাড়ি। সে কখনও লোকালয়ে আসে না; নির্জনে বনবাসে থেকে কাজকর্ম পরিচালনা করে। বাহার কেরানী ২০০৩ সালে বন ও জলদস্যু নিধনের সময় সোলেমান কমান্ডারেরদস্যু­ বাহিনীর সদস্যছিল। পরে নিহত বাসার মাঝি ও নিজাম বাহিনীর সদস্য হিসেবে যোগ দেয়। এখন নিজামের সদস্যদের সংগঠিত করে ও বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে নিজেই গড়ে তোলে শক্তিশালী বিশাল দস্যু বাহিনী। র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিজাম ডাকাত নিহতহওয়ার পর তার রেখে যাওয়া বাহিনীকে সংগঠিত করে তার সেকেন্ড-ইন-কমান­্ড ডাকাত বাহার কেরানী। নিজাম ও বাহার ডাকাতের অত্যাচারে প্রায় ৫০০ ভূমিহীন পরিবার বাস্তুহারা হয়েছে। চাঁদার দাবিতে জেলে ও ভূমিহীনসহ পাঁচ শতাধিক ব্যক্তিকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে।এ ছাড়া তার নেতৃত্বে ৭০টি ধর্ষণ, দুই হাজার বাড়িঘর ভাংচুরও দুই সহস্রাধিক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। দস্যুদের হাতে চরাঞ্চলের প্রায় দুই লাখ ভূমিহীন ও মেঘনা নদীতে প্রায় ৫০ হাজার জেলে জিম্মি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন