জলদস্যু বাহিনী প্রধান নিজাম ডাকাত বৃহস্পতিবার ভোরে র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার পরদিননতুন দায়িত্ব পেয়েছে দস্যুসম্রাট বাহার কেরানী। বাহার কেরানীর বিরুদ্ধে হাতিয়া, চরজব্বর, মনপুরা, সন্দ্বীপসহ বিভিন্ন থানায় ৩০-৩৫টি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। বাহার কেরানীর নতুন কমান্ডারের দায়িত্ব পাওয়ার খবরচরাঞ্চলে পেঁৗছার সঙ্গে সঙ্গে জেলেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।জানা যায়, বাহার কেরানী হাতিয়া উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম সোনাদিয়া গ্রামের মৃত পাটোয়ারীসরদারের ছেলে। বর্তমানে ক্যারিংচরের বাথানখালী গ্রামে তার বাড়ি। সে কখনও লোকালয়ে আসে না; নির্জনে বনবাসে থেকে কাজকর্ম পরিচালনা করে। বাহার কেরানী ২০০৩ সালে বন ও জলদস্যু নিধনের সময় সোলেমান কমান্ডারেরদস্যু বাহিনীর সদস্যছিল। পরে নিহত বাসার মাঝি ও নিজাম বাহিনীর সদস্য হিসেবে যোগ দেয়। এখন নিজামের সদস্যদের সংগঠিত করে ও বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে নিজেই গড়ে তোলে শক্তিশালী বিশাল দস্যু বাহিনী। র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিজাম ডাকাত নিহতহওয়ার পর তার রেখে যাওয়া বাহিনীকে সংগঠিত করে তার সেকেন্ড-ইন-কমান্ড ডাকাত বাহার কেরানী। নিজাম ও বাহার ডাকাতের অত্যাচারে প্রায় ৫০০ ভূমিহীন পরিবার বাস্তুহারা হয়েছে। চাঁদার দাবিতে জেলে ও ভূমিহীনসহ পাঁচ শতাধিক ব্যক্তিকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে।এ ছাড়া তার নেতৃত্বে ৭০টি ধর্ষণ, দুই হাজার বাড়িঘর ভাংচুরও দুই সহস্রাধিক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। দস্যুদের হাতে চরাঞ্চলের প্রায় দুই লাখ ভূমিহীন ও মেঘনা নদীতে প্রায় ৫০ হাজার জেলে জিম্মি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন