বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১১

প্রচারণা না থাকায় মোবাইল ফোনে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত মানুষ::

সারাদেশের মতো সন্দ্বীপ উপজেলায়ও মোবাইল ফোনে জরুরি স্বাস্থ্য সেবা প্রদান কার্যক্রম চালু হয়। কিন্তু এ সেবা সম্পর্কে মানুষের ধারণা না থাকায় তা আজও কাজে আসছে না। কার্যকর প্রচারণা না থাকায় সাধারণ মানুষের কাছে এ সেবাটি এখনও অজানাই রয়ে গেছে। সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের মে মাস থেকে সরকার দেশের ৪শ ১৮টি সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোবাইল ফোনে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম চালু করে। জরুরি স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে দিতে প্রতিটি হাসপাতাল ও কমপ্লেক্সে তৎসময়ে একটি করে মোবাইল ফোনও দেয়া হয়। পরিপত্র অনুযায়ী একজন মেডিকেল কর্মকর্তা রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা এই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জনগণকে জরুরি চিকিৎসা সেবা ও পরামর্শ দিতে বাধ্য। মোবাইল নম্বরটি জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রদর্শন ও প্রচারের সরকারি নির্দেশনাও রয়েছে। সকল স্তরের জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন, সুশীল সমাজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন মাধ্যমে জনগণকে মোবাইল নম্বরটি জানাতে বলা হয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মোবাইল নম্বরটি প্রচার ও প্রদর্শনের কার্যকর উদ্যোগ নিতে না পারায় মোবাইল ফোনে জরুরি স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম কার্যকর হয়নি। জনস্বাস্থ্য সেবা নয়, মূলতঃ মোবাইলটি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আভ্যন্তরীণ যোগাযোগের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সন্দ্বীপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যে মোবাইলটি দেয়া হয়েছে তার নম্বর হল : ০১৭৩০-৩২৪৪৫৪। নিয়ম অনুযায়ী মোবাইল ফোনটি ২৪ ঘণ্টা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর জরুরি বিভাগে থাকার কথা এবং সেখান থেকেই চিকিৎসকের মাধ্যমে চিকিৎসা ও পরামর্শ দেয়ার কথা। সন্দ্বীপ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. দেলওয়ার হোসেন এ প্রতিবেদককে বলেন, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য আমরা ২৪ ঘণ্টা প্রস্তুত থাকলেও চিকিৎসা সেবা নেয়ার জন্য আমাদের তেমন কেউ ফোন করে না। তিনি আরও বলেন, আমরা তখনই উপজেলা পরিষদের মিটিং এ ব্রিফিং করে বিষয়টি জনপ্রতিনিধিদের অবহিত করেছি। সরেজমিনে অসংখ্য মানুষ ও বিভিন্ন স্তরের নির্বাহীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বেশিরভাগ লোকেরই এ ধরনের সেবা সম্পর্কে কোন ধারণাই নেই। হরিশপুর ইউপি চেয়রম্যান মো. সাইদুল কাদের বলেন, আমি ইউপি চেয়ারম্যান হয়েও মোবাইল ফোনের এ চিকিৎসা সেবা সম্পর্কে জানি না। মুস্তাফিজুর রহমান ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ ও সন্দ্বীপ পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জামিল ফরহাদ বলেন, মোবাইল ফোনের জরুরি স্বাস্থ্য সেবা সম্পর্কিত বিষয়টি সম্বন্ধে আমিও অবগত নই। সন্দ্বীপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মো. সাখাওয়াত উল্যাহ এ প্রতিবেদককে বলেন, জরুরি স্বাস্থ্য সেবা বিষয়ে দৈনিক গড়ে ১টির বেশি ফোন আসে না। তবে, ২/৩ টি ফোন আসে আমাদের সিভিল সার্জন অফিস, ডি.জি. অফিস, হারামিয়া ২০শয্যা হাসপাতাল ও ডিরেক্টর অফিস থেকে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন