মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই, ২০১১

সন্দ্বীপ ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে জোড়া খুনের সাক্ষীর ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি (sandwip jora khuner joban bondi)

Edit

by Dwipeer Alo on Sunday, July 17, 2011 at 2:26pm

সন্দ্বীপ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে গত ১১ জুলাই ১৬৪ ধারায় সাক্ষীর জবানবন্দিতে খাদিজা বেগম সাথী (১১) বলেন, আমি ৩য় শ্রেণীতে পড়ি। ঐ দিন আমি প্রাইভেট পড়ে ঘরে আসি মাগরিবের নামাজের আগে। এসে দেখি আমার ফুফাত ভাই মো. আমির হোসেন পাকের ঘরে বসা। আমার মা আমাকে বিস্কুট চিনি মুড়ি আনতে বলে দোকান হতে। আমি ও আমার ছোট বোন স্মৃতি দোকানে যাই এবং বিস্কুট চিনি মুড়ি আনি। আমার মা ফুফাত ভাই মো. আমির হোসেনকে চা বিস্কুট দেয়। সে আমাকে একটি বটি এনে দিতে বলে। আমি বটি এনে দিই। সে বটি দিয়ে বিস্কুটের খোলা প্যাকেট কাটে। ফুফাত ভাই আমাকে বলে তুমি পড়তে যাও। আমি আমার ছোট বোন স্মৃতি এবং ভাই মারুফ পড়তে বসি। মো. আমির হোসেন আমার ছোট বোন স্মৃতিকে ১৫/১৬ মিনিট পরে ডেকে নিয়ে যায়। আমার বোন স্মৃতি মাগো মাগো বলে দুটি ডাক দিয়েছিল। আমি যায়নি। সে আমার কাছে আসলে তার হাতে রক্ত দেখে জিজ্ঞাসা করি তোমার হাতে রক্ত কেন? সে বলে হাত কেটে গেছে। আমাকে একটি তেনা (ছিড়া কাপড়) দিতে বলে। আমি তেনা (ছিড়া কাপড়) পাইনি দেখে আমাকে সে মারছিল। আমি কান্না করছিলাম। সে আমার ভাই মারুফকে কোপাতে চাইলে আমি হাত বাড়িয়ে দিই। এতে আমার হাতের আঙ্গুল কেটে যায়। তারপর আমি চিৎকার করে দরজা দিয়ে বের হয়ে যাই। এরপর লোকজন আসে। আমাকে বাজারে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। পরে হাসপাতালে নিয়ে যায়। উল্লেখ্য, গত ৭ জুলাই সন্ধ্যা সাতটার দিকে ভাগিনা মো. আমির হোসেন মামী নিলুফা বেগমকে তিন হাজার টাকা দিতে বলে। মামি টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করে। তারপর ভাগিনা, মামীকে ঘরের জিনিসপত্র দিতে বাধ্য করার চেষ্টা করে। এরপর মামী, ভাগিনাকে ডাকাত বলে চিৎকার দেয়ার হুংকার দিলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ঘাতক মো. আমির হোসেন (২২) মামী নিলুফা বেগম (৩২) ও মামাত বোন স্মৃতি (৭)কে বটি দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে খুন করে। শুধু তাই নয় ঘাতক আমির অপর মামাত বোন সাজেদা বেগম সাথী (১১) কেও কুপিয়ে আহত করে। এ বিষয়ে নিহত নিলুফার ভাসুর মো. আবদুল হাই বাদী হয়ে সন্দ্বীপ থানায় ৩০২ ধারায় হত্যা মামলা করে। মামলা নম্বর- ১, তারিখ- ৮ জুলাই। সন্দ্বীপ ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের জিআর নম্বর- ২৭/১১

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন