by Dwipeer Alo on Sunday, June 26, 2011 at 3:39pm
প্রকৃতির অপরূপ মায়াবীর চাদরে ঢাকা সবুজ, শ্যামল, মনোমুগ্ধকর, নৈসর্গিক সৌন্দর্যের সমারোহে ভরপুর দ্বীপের রানী-খ্যাত সন্দ্বীপ। নানা জাতের পাখি, মাছ ও প্রাকৃতিক সম্পদের অফুরন্ত ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত এ দ্বীপ। নারকেল, সুপারি, আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল, আনারসসহ মৌসুমি ফলের গাছে ভরা সন্দ্বীপের প্রতিটি বাড়ির বাগান আর পতিত জায়গাজমি। গাছের ডালভর্তি প্রকৃতির অপার দান পাকা ফল। পুকুরভর্তি মাছ। কারুকার্যে খচিত নয়নাভিরাম বাড়িঘর, সুদৃশ্য শানবাঁধানো ঘাট। দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। এলাকাজুড়ে জারি গান, কবিয়াল গান আর মারফতি গানের আয়োজন। হাটবাজারগুলোতে আছে কুস্তি প্রতিযোগিতা। আরণ্যক সৌন্দর্যের টানে বহুকাল ধরে সৌন্দর্যপ্রেমী প্রভাবশালী পর্যটকদের আগমন ঘটেছিল। একসময় পীর-আউলিয়া এবং রাজা-মহারাজাদের স্বর্গরাজ্য ছিল এই দ্বীপ। এখনও সমন্বিত পরিকল্পনা আর সরকারি উদ্যোগের মাধ্যমে সন্দ্বীপকে গড়ে তোলা যায় দেশের অন্যতম পর্যটন এলাকা হিসেবে।
সৌন্দর্যের যাবতীয় আয়োজন রয়েছে এই দ্বীপে। নদী আর সাগরের জল আছড়ে পড়ে দ্বীপের চারপাশে। নদী কিংবা সাগরের পানিতে সকাল-বিকাল সূর্যের আলো অপরূপ সৌন্দর্য সৃষ্টি করে। নদীতটের চিকচিক বালিতে সূর্যের আলো তৈরি করে মোহনীয় পরিবেশ। স্বর্ণালি স্বপ্নের মতোই অপরূপ এ দ্বীপ বর্ণিল শোভায় ঘেরা। এলাকাজুড়ে ছোট ছোট নৌকা চলছে বড় বড় ঢেউয়ের তালে। জাল ফেলে রাতদিন মাছ ধরছে জেলেরা। সাগর আর নদীর তীরে ভেসে বেড়ায় অসংখ্য পাখি। তাদের কিচিরমিচির শব্দে সন্ধ্যার পরিবেশ হয়ে ওঠে সত্যিই দারুণ উপভোগ্য। দেখা যায়, সমুদ্রগামী জেলেদের জীবনসংগ্রাম।
সন্দ্বীপকে কেন্দ্র করে পর্যটন শিল্পের বিকাশের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। পর্যটকদের আকর্ষণ করার মতো যথেষ্ট প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রয়েছে সন্দ্বীপে। অপার সম্ভাবনাময় সন্দ্বীপের সমুদ্রসৈকত সম্পূর্ণটাই যেন একটি পর্যটন কেন্দ্র। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো গেলে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আগমনে মুখর হয়ে উঠতে পারে সন্দ্বীপ। এখানকার অফুরন্ত প্রাকৃতিক শোভার কোনো তুলনা নেই। পর্যটনের সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করলে একদিন সন্দ্বীপ বিশ্বসেরা পর্যটন নগরীগুলোকে ছাড়িয়ে যাবে। এতে ভাগ্য বদলে যেতে পারে এলাকার মানুষের।
চট্টগ্রাম থেকে খুব সহজেই সন্দ্বীপ যাওয়া যায়। চট্টগ্রাম সদরঘাট থেকে একাধিক স্টিমার নিয়মিত সন্দ্বীপে চলাচল করে। সীতাকুণ্ড, মিরসরাই, বাড়বকুণ্ড, ফকিরহাট অথবা কুমিরা থেকে প্রতিদিন অনেক লঞ্চ, স্পিডবোট সন্দ্বীপে যাতায়াত করে। স্টিমারে চার থেকে সাড়ে চার ঘণ্টা লাগলেও লঞ্চে যাওয়া যায় মাত্র এক ঘণ্টায়। স্পিডবোটে লাগে মাত্র দশ থেকে পনেরো মিনিট। বছরের ঝুঁকিপূর্ণ ঝড়ঝঞ্ঝার দিনগুলো বাদে বিশেষ করে শীত-হেমন্তে সন্দ্বীপে ভ্রমণ বেশ জমে ওঠে। এখানে গাড়ির ধোঁয়া নেই, ধুলাবালির আধিক্য নেই, শব্দদূষণ সৃষ্টিকারী গাড়ির হর্ন নেই।
এফবিসিসিআইর সাবেক সহ-সভাপতি, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আবুল কাসেম হায়দার বলেন, মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ হলে সন্দ্বীপে বিভিন্ন কলকারখানা, জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুত্ সুবিধা, আবাসন, জমি উদ্ধার, লবণ চাষ, লবণ মিল, বরফ কল, মত্স্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প, মত্স্য খাদ্য মিল ইত্যাদি গড়ে ওঠার অফুরন্ত সম্ভাবনা রয়েছে এই দ্বীপে। তিনি বলেন, সন্দ্বীপকে পর্যটনমুখী করতে সবার আগে দরকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন। প্রথমেই যে কাজটি করা দরকার তা হলো, নোয়াখালী থেকে সন্দ্বীপ পর্যন্ত ক্রসবাঁধ নির্মাণ করা। এছাড়া কুমিরা থেকে গুপ্তছড়া পর্যন্ত শক্তিশালী জেটি নির্মাণ করে যোগাযোগের সহজ বন্দোবস্ত করা। এছাড়া সি-ট্রাকের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। কাসেম হায়দার বলেন, এই দুই পথে সি-ট্রাক চলাচল করলে পর্যটকদের যাতায়াত সুবিধা বাড়বে। পাশাপাশি নিয়মিত সি-ট্রাক চালু হলে এসব এলাকার লাখো মানুষের যোগাযোগের ক্ষেত্রে একটি বিপ্লবের সূচনা হবে। এফবিসিসিআইর সাবেক সহ-সভাপতি বলেন, দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে অবকাশ যাপনের জন্য এখানে নির্মাণ করতে হবে অত্যাধুনিক মানের কটেজ। এছাড়া কেবলকার, পর্যবেক্ষণ টাওয়ার, ওয়াকওয়ে, রিসোর্ট কটেজ ইত্যাদি অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে এ দ্বীপকে পর্যায়ক্রমে নয়নাভিরাম পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা যেতে পারে।
বেসরকারি মেডিকেল ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকার উত্তরা মনসুর আলী মেডিকেলের অধ্যক্ষ ড. জামাল বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উত্কর্ষের যুগে এটি ধীরে ধীরে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে—এটা মানা যায় না। ক্রসবাঁধ নির্মাণ ছাড়াও সন্দ্বীপ থেকে উড়িরচর, উড়িরচর থেকে কোম্পানীগঞ্জ পর্যন্ত বেইলি ব্রিজ তৈরি করে ঢাকা থেকে সরাসরি যানবাহনে মাত্র পাঁচ ঘণ্টায় সন্দ্বীপ পৌঁছানো সম্ভব। সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে সন্দ্বীপকেও সেন্টমার্টিনের মতো আকর্ষণীয় পর্যটন দ্বীপে পরিণত করা যায়।
মনিকো গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার শফিকুল আলম বলেন, সন্দ্বীপকে আধুনিক পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে হলে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের উত্সাহিত করতে হবে। সরকার বিদেশি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে সেখানে বিনিয়োগের সুযোগ দিলে তাদের টানে প্রবাসী বাংলাদেশীরা যৌথ বিনিয়োগে আগ্রহী হবেন। স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের জন্যও সরকারকে বিশেষ সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে, যাতে সন্দ্বীপে বিনিয়োগে তারা উত্সাহিত হন।
(courtesy by Daily Amardesh)
বুধবার, ২০ জুলাই, ২০১১
পর্যটনের অপার সম্ভাবনা সন্দ্বীপে
by Dwipeer Alo on Sunday, June 26, 2011 at 3:39pm
প্রকৃতির অপরূপ মায়াবীর চাদরে ঢাকা সবুজ, শ্যামল, মনোমুগ্ধকর, নৈসর্গিক সৌন্দর্যের সমারোহে ভরপুর দ্বীপের রানী-খ্যাত সন্দ্বীপ। নানা জাতের পাখি, মাছ ও প্রাকৃতিক সম্পদের অফুরন্ত ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত এ দ্বীপ। নারকেল, সুপারি, আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল, আনারসসহ মৌসুমি ফলের গাছে ভরা সন্দ্বীপের প্রতিটি বাড়ির বাগান আর পতিত জায়গাজমি। গাছের ডালভর্তি প্রকৃতির অপার দান পাকা ফল। পুকুরভর্তি মাছ। কারুকার্যে খচিত নয়নাভিরাম বাড়িঘর, সুদৃশ্য শানবাঁধানো ঘাট। দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। এলাকাজুড়ে জারি গান, কবিয়াল গান আর মারফতি গানের আয়োজন। হাটবাজারগুলোতে আছে কুস্তি প্রতিযোগিতা। আরণ্যক সৌন্দর্যের টানে বহুকাল ধরে সৌন্দর্যপ্রেমী প্রভাবশালী পর্যটকদের আগমন ঘটেছিল। একসময় পীর-আউলিয়া এবং রাজা-মহারাজাদের স্বর্গরাজ্য ছিল এই দ্বীপ। এখনও সমন্বিত পরিকল্পনা আর সরকারি উদ্যোগের মাধ্যমে সন্দ্বীপকে গড়ে তোলা যায় দেশের অন্যতম পর্যটন এলাকা হিসেবে।
সৌন্দর্যের যাবতীয় আয়োজন রয়েছে এই দ্বীপে। নদী আর সাগরের জল আছড়ে পড়ে দ্বীপের চারপাশে। নদী কিংবা সাগরের পানিতে সকাল-বিকাল সূর্যের আলো অপরূপ সৌন্দর্য সৃষ্টি করে। নদীতটের চিকচিক বালিতে সূর্যের আলো তৈরি করে মোহনীয় পরিবেশ। স্বর্ণালি স্বপ্নের মতোই অপরূপ এ দ্বীপ বর্ণিল শোভায় ঘেরা। এলাকাজুড়ে ছোট ছোট নৌকা চলছে বড় বড় ঢেউয়ের তালে। জাল ফেলে রাতদিন মাছ ধরছে জেলেরা। সাগর আর নদীর তীরে ভেসে বেড়ায় অসংখ্য পাখি। তাদের কিচিরমিচির শব্দে সন্ধ্যার পরিবেশ হয়ে ওঠে সত্যিই দারুণ উপভোগ্য। দেখা যায়, সমুদ্রগামী জেলেদের জীবনসংগ্রাম।
সন্দ্বীপকে কেন্দ্র করে পর্যটন শিল্পের বিকাশের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। পর্যটকদের আকর্ষণ করার মতো যথেষ্ট প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রয়েছে সন্দ্বীপে। অপার সম্ভাবনাময় সন্দ্বীপের সমুদ্রসৈকত সম্পূর্ণটাই যেন একটি পর্যটন কেন্দ্র। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো গেলে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আগমনে মুখর হয়ে উঠতে পারে সন্দ্বীপ। এখানকার অফুরন্ত প্রাকৃতিক শোভার কোনো তুলনা নেই। পর্যটনের সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করলে একদিন সন্দ্বীপ বিশ্বসেরা পর্যটন নগরীগুলোকে ছাড়িয়ে যাবে। এতে ভাগ্য বদলে যেতে পারে এলাকার মানুষের।
চট্টগ্রাম থেকে খুব সহজেই সন্দ্বীপ যাওয়া যায়। চট্টগ্রাম সদরঘাট থেকে একাধিক স্টিমার নিয়মিত সন্দ্বীপে চলাচল করে। সীতাকুণ্ড, মিরসরাই, বাড়বকুণ্ড, ফকিরহাট অথবা কুমিরা থেকে প্রতিদিন অনেক লঞ্চ, স্পিডবোট সন্দ্বীপে যাতায়াত করে। স্টিমারে চার থেকে সাড়ে চার ঘণ্টা লাগলেও লঞ্চে যাওয়া যায় মাত্র এক ঘণ্টায়। স্পিডবোটে লাগে মাত্র দশ থেকে পনেরো মিনিট। বছরের ঝুঁকিপূর্ণ ঝড়ঝঞ্ঝার দিনগুলো বাদে বিশেষ করে শীত-হেমন্তে সন্দ্বীপে ভ্রমণ বেশ জমে ওঠে। এখানে গাড়ির ধোঁয়া নেই, ধুলাবালির আধিক্য নেই, শব্দদূষণ সৃষ্টিকারী গাড়ির হর্ন নেই।
এফবিসিসিআইর সাবেক সহ-সভাপতি, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আবুল কাসেম হায়দার বলেন, মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ হলে সন্দ্বীপে বিভিন্ন কলকারখানা, জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুত্ সুবিধা, আবাসন, জমি উদ্ধার, লবণ চাষ, লবণ মিল, বরফ কল, মত্স্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প, মত্স্য খাদ্য মিল ইত্যাদি গড়ে ওঠার অফুরন্ত সম্ভাবনা রয়েছে এই দ্বীপে। তিনি বলেন, সন্দ্বীপকে পর্যটনমুখী করতে সবার আগে দরকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন। প্রথমেই যে কাজটি করা দরকার তা হলো, নোয়াখালী থেকে সন্দ্বীপ পর্যন্ত ক্রসবাঁধ নির্মাণ করা। এছাড়া কুমিরা থেকে গুপ্তছড়া পর্যন্ত শক্তিশালী জেটি নির্মাণ করে যোগাযোগের সহজ বন্দোবস্ত করা। এছাড়া সি-ট্রাকের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। কাসেম হায়দার বলেন, এই দুই পথে সি-ট্রাক চলাচল করলে পর্যটকদের যাতায়াত সুবিধা বাড়বে। পাশাপাশি নিয়মিত সি-ট্রাক চালু হলে এসব এলাকার লাখো মানুষের যোগাযোগের ক্ষেত্রে একটি বিপ্লবের সূচনা হবে। এফবিসিসিআইর সাবেক সহ-সভাপতি বলেন, দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে অবকাশ যাপনের জন্য এখানে নির্মাণ করতে হবে অত্যাধুনিক মানের কটেজ। এছাড়া কেবলকার, পর্যবেক্ষণ টাওয়ার, ওয়াকওয়ে, রিসোর্ট কটেজ ইত্যাদি অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে এ দ্বীপকে পর্যায়ক্রমে নয়নাভিরাম পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা যেতে পারে।
বেসরকারি মেডিকেল ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকার উত্তরা মনসুর আলী মেডিকেলের অধ্যক্ষ ড. জামাল বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উত্কর্ষের যুগে এটি ধীরে ধীরে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে—এটা মানা যায় না। ক্রসবাঁধ নির্মাণ ছাড়াও সন্দ্বীপ থেকে উড়িরচর, উড়িরচর থেকে কোম্পানীগঞ্জ পর্যন্ত বেইলি ব্রিজ তৈরি করে ঢাকা থেকে সরাসরি যানবাহনে মাত্র পাঁচ ঘণ্টায় সন্দ্বীপ পৌঁছানো সম্ভব। সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে সন্দ্বীপকেও সেন্টমার্টিনের মতো আকর্ষণীয় পর্যটন দ্বীপে পরিণত করা যায়।
মনিকো গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার শফিকুল আলম বলেন, সন্দ্বীপকে আধুনিক পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে হলে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের উত্সাহিত করতে হবে। সরকার বিদেশি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে সেখানে বিনিয়োগের সুযোগ দিলে তাদের টানে প্রবাসী বাংলাদেশীরা যৌথ বিনিয়োগে আগ্রহী হবেন। স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের জন্যও সরকারকে বিশেষ সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে, যাতে সন্দ্বীপে বিনিয়োগে তারা উত্সাহিত হন।
(courtesy by Daily Amardesh)
প্রকৃতির অপরূপ মায়াবীর চাদরে ঢাকা সবুজ, শ্যামল, মনোমুগ্ধকর, নৈসর্গিক সৌন্দর্যের সমারোহে ভরপুর দ্বীপের রানী-খ্যাত সন্দ্বীপ। নানা জাতের পাখি, মাছ ও প্রাকৃতিক সম্পদের অফুরন্ত ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত এ দ্বীপ। নারকেল, সুপারি, আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল, আনারসসহ মৌসুমি ফলের গাছে ভরা সন্দ্বীপের প্রতিটি বাড়ির বাগান আর পতিত জায়গাজমি। গাছের ডালভর্তি প্রকৃতির অপার দান পাকা ফল। পুকুরভর্তি মাছ। কারুকার্যে খচিত নয়নাভিরাম বাড়িঘর, সুদৃশ্য শানবাঁধানো ঘাট। দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। এলাকাজুড়ে জারি গান, কবিয়াল গান আর মারফতি গানের আয়োজন। হাটবাজারগুলোতে আছে কুস্তি প্রতিযোগিতা। আরণ্যক সৌন্দর্যের টানে বহুকাল ধরে সৌন্দর্যপ্রেমী প্রভাবশালী পর্যটকদের আগমন ঘটেছিল। একসময় পীর-আউলিয়া এবং রাজা-মহারাজাদের স্বর্গরাজ্য ছিল এই দ্বীপ। এখনও সমন্বিত পরিকল্পনা আর সরকারি উদ্যোগের মাধ্যমে সন্দ্বীপকে গড়ে তোলা যায় দেশের অন্যতম পর্যটন এলাকা হিসেবে।
সৌন্দর্যের যাবতীয় আয়োজন রয়েছে এই দ্বীপে। নদী আর সাগরের জল আছড়ে পড়ে দ্বীপের চারপাশে। নদী কিংবা সাগরের পানিতে সকাল-বিকাল সূর্যের আলো অপরূপ সৌন্দর্য সৃষ্টি করে। নদীতটের চিকচিক বালিতে সূর্যের আলো তৈরি করে মোহনীয় পরিবেশ। স্বর্ণালি স্বপ্নের মতোই অপরূপ এ দ্বীপ বর্ণিল শোভায় ঘেরা। এলাকাজুড়ে ছোট ছোট নৌকা চলছে বড় বড় ঢেউয়ের তালে। জাল ফেলে রাতদিন মাছ ধরছে জেলেরা। সাগর আর নদীর তীরে ভেসে বেড়ায় অসংখ্য পাখি। তাদের কিচিরমিচির শব্দে সন্ধ্যার পরিবেশ হয়ে ওঠে সত্যিই দারুণ উপভোগ্য। দেখা যায়, সমুদ্রগামী জেলেদের জীবনসংগ্রাম।
সন্দ্বীপকে কেন্দ্র করে পর্যটন শিল্পের বিকাশের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। পর্যটকদের আকর্ষণ করার মতো যথেষ্ট প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রয়েছে সন্দ্বীপে। অপার সম্ভাবনাময় সন্দ্বীপের সমুদ্রসৈকত সম্পূর্ণটাই যেন একটি পর্যটন কেন্দ্র। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো গেলে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আগমনে মুখর হয়ে উঠতে পারে সন্দ্বীপ। এখানকার অফুরন্ত প্রাকৃতিক শোভার কোনো তুলনা নেই। পর্যটনের সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করলে একদিন সন্দ্বীপ বিশ্বসেরা পর্যটন নগরীগুলোকে ছাড়িয়ে যাবে। এতে ভাগ্য বদলে যেতে পারে এলাকার মানুষের।
চট্টগ্রাম থেকে খুব সহজেই সন্দ্বীপ যাওয়া যায়। চট্টগ্রাম সদরঘাট থেকে একাধিক স্টিমার নিয়মিত সন্দ্বীপে চলাচল করে। সীতাকুণ্ড, মিরসরাই, বাড়বকুণ্ড, ফকিরহাট অথবা কুমিরা থেকে প্রতিদিন অনেক লঞ্চ, স্পিডবোট সন্দ্বীপে যাতায়াত করে। স্টিমারে চার থেকে সাড়ে চার ঘণ্টা লাগলেও লঞ্চে যাওয়া যায় মাত্র এক ঘণ্টায়। স্পিডবোটে লাগে মাত্র দশ থেকে পনেরো মিনিট। বছরের ঝুঁকিপূর্ণ ঝড়ঝঞ্ঝার দিনগুলো বাদে বিশেষ করে শীত-হেমন্তে সন্দ্বীপে ভ্রমণ বেশ জমে ওঠে। এখানে গাড়ির ধোঁয়া নেই, ধুলাবালির আধিক্য নেই, শব্দদূষণ সৃষ্টিকারী গাড়ির হর্ন নেই।
এফবিসিসিআইর সাবেক সহ-সভাপতি, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আবুল কাসেম হায়দার বলেন, মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ হলে সন্দ্বীপে বিভিন্ন কলকারখানা, জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুত্ সুবিধা, আবাসন, জমি উদ্ধার, লবণ চাষ, লবণ মিল, বরফ কল, মত্স্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প, মত্স্য খাদ্য মিল ইত্যাদি গড়ে ওঠার অফুরন্ত সম্ভাবনা রয়েছে এই দ্বীপে। তিনি বলেন, সন্দ্বীপকে পর্যটনমুখী করতে সবার আগে দরকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন। প্রথমেই যে কাজটি করা দরকার তা হলো, নোয়াখালী থেকে সন্দ্বীপ পর্যন্ত ক্রসবাঁধ নির্মাণ করা। এছাড়া কুমিরা থেকে গুপ্তছড়া পর্যন্ত শক্তিশালী জেটি নির্মাণ করে যোগাযোগের সহজ বন্দোবস্ত করা। এছাড়া সি-ট্রাকের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। কাসেম হায়দার বলেন, এই দুই পথে সি-ট্রাক চলাচল করলে পর্যটকদের যাতায়াত সুবিধা বাড়বে। পাশাপাশি নিয়মিত সি-ট্রাক চালু হলে এসব এলাকার লাখো মানুষের যোগাযোগের ক্ষেত্রে একটি বিপ্লবের সূচনা হবে। এফবিসিসিআইর সাবেক সহ-সভাপতি বলেন, দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে অবকাশ যাপনের জন্য এখানে নির্মাণ করতে হবে অত্যাধুনিক মানের কটেজ। এছাড়া কেবলকার, পর্যবেক্ষণ টাওয়ার, ওয়াকওয়ে, রিসোর্ট কটেজ ইত্যাদি অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে এ দ্বীপকে পর্যায়ক্রমে নয়নাভিরাম পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা যেতে পারে।
বেসরকারি মেডিকেল ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকার উত্তরা মনসুর আলী মেডিকেলের অধ্যক্ষ ড. জামাল বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উত্কর্ষের যুগে এটি ধীরে ধীরে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে—এটা মানা যায় না। ক্রসবাঁধ নির্মাণ ছাড়াও সন্দ্বীপ থেকে উড়িরচর, উড়িরচর থেকে কোম্পানীগঞ্জ পর্যন্ত বেইলি ব্রিজ তৈরি করে ঢাকা থেকে সরাসরি যানবাহনে মাত্র পাঁচ ঘণ্টায় সন্দ্বীপ পৌঁছানো সম্ভব। সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে সন্দ্বীপকেও সেন্টমার্টিনের মতো আকর্ষণীয় পর্যটন দ্বীপে পরিণত করা যায়।
মনিকো গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার শফিকুল আলম বলেন, সন্দ্বীপকে আধুনিক পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে হলে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের উত্সাহিত করতে হবে। সরকার বিদেশি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে সেখানে বিনিয়োগের সুযোগ দিলে তাদের টানে প্রবাসী বাংলাদেশীরা যৌথ বিনিয়োগে আগ্রহী হবেন। স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের জন্যও সরকারকে বিশেষ সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে, যাতে সন্দ্বীপে বিনিয়োগে তারা উত্সাহিত হন।
(courtesy by Daily Amardesh)
সন্দ্বীপের ৩৪ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই
by Dwipeer Alo on Tuesday, June 28, 2011 at 4:18am
সন্দ্বীপ উপজেলার সরকারি- বেসরকারি মিলে মোট ৩৪ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই। প্রধান শিক্ষক না থাকার কারণে বিদ্যালয় গুলোতে একদিকে পড়া-লেখায় বিঘ্ন ঘটছে অপরদিকে প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, সন্দ্বীপ উপজেলার সরকারি ১শ তিনটি, রেজিষ্টার্ড ৩৯ টি, নীড বাংলাদেশ (বেসরকারি সংস্থা) ৩ টি ও ১ টি কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। অর্থাৎ এই উপজেলায় সর্বমোট ১শ ৪৬ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। এরমধ্যে সরকারি ২৩ টি ও রেজিষ্টার্ড ১১ টি উভয়ে মিলে ৩৪ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অবিভাবক জানান, বিদ্যালয় গুলোতে জরুরী ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করে পড়া-লেখার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনা অতিব প্রয়োজন। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. হারুন অর রশিদ জানান, মামলাজনিত কারণে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি বন্ধ আছে। তবে, তিনি স্বীকার করেন প্রধান শিক্ষক না থাকার কারণে বিদ্যালয় গুলোতে পড়া-লেখা বিঘ্নিত হচ্ছে।
সন্দ্বীপ উপজেলার সরকারি- বেসরকারি মিলে মোট ৩৪ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই। প্রধান শিক্ষক না থাকার কারণে বিদ্যালয় গুলোতে একদিকে পড়া-লেখায় বিঘ্ন ঘটছে অপরদিকে প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, সন্দ্বীপ উপজেলার সরকারি ১শ তিনটি, রেজিষ্টার্ড ৩৯ টি, নীড বাংলাদেশ (বেসরকারি সংস্থা) ৩ টি ও ১ টি কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। অর্থাৎ এই উপজেলায় সর্বমোট ১শ ৪৬ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। এরমধ্যে সরকারি ২৩ টি ও রেজিষ্টার্ড ১১ টি উভয়ে মিলে ৩৪ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অবিভাবক জানান, বিদ্যালয় গুলোতে জরুরী ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করে পড়া-লেখার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনা অতিব প্রয়োজন। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. হারুন অর রশিদ জানান, মামলাজনিত কারণে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি বন্ধ আছে। তবে, তিনি স্বীকার করেন প্রধান শিক্ষক না থাকার কারণে বিদ্যালয় গুলোতে পড়া-লেখা বিঘ্নিত হচ্ছে।
সন্দ্বীপ টাউন স্টিমার ঘাট হুমকির মুখে
by Dwipeer Alo on Tuesday, July 12, 2011 at 11:48am
মেঘনার ভাঙ্গনের শিকার সন্দ্বীপ টাউন স্টিমার ঘাট চরম হুমকির মুখে। এর প্রভাবে ঘাট সংলগ্ন জংশন ও লোকালয়কে আবারও পরিবর্তন করতে হচ্ছে দোকান ও বসবাসের ঠিকানা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, বর্তমান সন্দ্বীপ টাউন স্টিমার ঘাট অতীতে আরও ৫ মাইল পশ্চিমে ছিল। মেঘনার রাক্ষসী ভাঙ্গনে ঘাটের আজ এ অবস্থা। এ পর্যন্ত ঘাট সংলগ্ন জংশন অন্তত: ১০ বার পরিবর্তন হয়েছে এবং গৃহহীন হয়ে পড়েছে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। অনতিবিলম্বে জরুরি ভিত্তিতে আসন্ন বর্ষা মৌসুমের পূর্বেই এই ঘাটটি রক্ষায় কোন ব্যবস্থা নিতে না পারলে এ বর্ষা মৌসুমে ঘাটটি ভেঙ্গে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। ঘাটের দোকানদার মনিরের মতে তার পান দোকানের উপর ভিত্তি করে পরিবার চলে। এখন দোকান নদী নিয়ে গেলে সে তার পরিবার পরিজন নিয়ে কোথায় যাবে তা জানে না। ফল বিক্রেতা আলমগীর বলেন, এটুকু ফল বিক্রয় করে কোন রকমে আমার পরিবার চলে। জংশন ভেঙ্গে গেলে পরিবার পরিজন নিয়ে পথে বসা ছাড়া আমার কোন পথ থাকবে না। লোকালয়ের স্থায়ী বাসিন্দা হাসিনা (৫০) জানান, এই নিয়ে ৫ বার নদী আমার বসত ঘর নিয়ে গেছে। এবার আর আমার ঘর তোলার মত কোন ব্যবস্থা নেই। এসব বিষয়ে রহমতপুর ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. হাসানুজ্জামান মামুন জানান, আমি ঘাট সংলগ্ন জংশন ও লোকালয় রক্ষায় নদী ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী উঁচু বেড়িবাঁধ নির্মাণে সরকারের সুদৃষ্টি প্রত্যাশা করছি।
মেঘনার ভাঙ্গনের শিকার সন্দ্বীপ টাউন স্টিমার ঘাট চরম হুমকির মুখে। এর প্রভাবে ঘাট সংলগ্ন জংশন ও লোকালয়কে আবারও পরিবর্তন করতে হচ্ছে দোকান ও বসবাসের ঠিকানা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, বর্তমান সন্দ্বীপ টাউন স্টিমার ঘাট অতীতে আরও ৫ মাইল পশ্চিমে ছিল। মেঘনার রাক্ষসী ভাঙ্গনে ঘাটের আজ এ অবস্থা। এ পর্যন্ত ঘাট সংলগ্ন জংশন অন্তত: ১০ বার পরিবর্তন হয়েছে এবং গৃহহীন হয়ে পড়েছে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। অনতিবিলম্বে জরুরি ভিত্তিতে আসন্ন বর্ষা মৌসুমের পূর্বেই এই ঘাটটি রক্ষায় কোন ব্যবস্থা নিতে না পারলে এ বর্ষা মৌসুমে ঘাটটি ভেঙ্গে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। ঘাটের দোকানদার মনিরের মতে তার পান দোকানের উপর ভিত্তি করে পরিবার চলে। এখন দোকান নদী নিয়ে গেলে সে তার পরিবার পরিজন নিয়ে কোথায় যাবে তা জানে না। ফল বিক্রেতা আলমগীর বলেন, এটুকু ফল বিক্রয় করে কোন রকমে আমার পরিবার চলে। জংশন ভেঙ্গে গেলে পরিবার পরিজন নিয়ে পথে বসা ছাড়া আমার কোন পথ থাকবে না। লোকালয়ের স্থায়ী বাসিন্দা হাসিনা (৫০) জানান, এই নিয়ে ৫ বার নদী আমার বসত ঘর নিয়ে গেছে। এবার আর আমার ঘর তোলার মত কোন ব্যবস্থা নেই। এসব বিষয়ে রহমতপুর ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. হাসানুজ্জামান মামুন জানান, আমি ঘাট সংলগ্ন জংশন ও লোকালয় রক্ষায় নদী ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী উঁচু বেড়িবাঁধ নির্মাণে সরকারের সুদৃষ্টি প্রত্যাশা করছি।
মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই, ২০১১
সন্দ্বীপের মগধরা ইউনিয়নে রমরমা মাদকের ব্যবসা
by Dwipeer Alo on Tuesday, June 28, 2011 at 3:38pm
সন্দ্বীপের মগধরা ইউনিয়নে রমরমা মাদকের ব্যবসা । সন্দ্বীপের মগধরা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্পটে সন্ধার পর নেমে আসে যেন মাদকের হাট। ইউনিয়নের পেলিশ্যার বাজার , সরকারী পুকুর মোড, শীলতলা,ও পূর্বে আদর্শ পাডা কলোনী এসব এলাকায় প্রতিদিন সন্ধার পর থেকে শুরু হয় মাদক কেনা বেচার বানিজ্য। ওপেন সিক্রেটের মতো বিক্রি হচ্ছে মদ গাজা, ফেনসিডাল আর স্পিরিট। এমনকি বিভিন্ন পাডা মহল্লার দোকনগুলেতে বিক্রি হচ্ছে মদ, গাজা। মাদকের এ ছোবলে উঠতি বয়সের ছেলেরা জডিয়ে পডছে বেশি। একটু সন্ধা নামতেই ঘর থেকে বের হতে সাহস করেন না অনেকই। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে বেশ কিছু রাজনৈতিক নেতাদের আশ্রয়ে গডে উঠছে এ মাদকের রমরমা ব্যবসা।আর যার কারনে এলাকার আইন শৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। এই ব্যপারে উপজেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উদাসীনত কে দায়ী করছে এলাকার জনগন
সন্দ্বীপের মগধরা ইউনিয়নে রমরমা মাদকের ব্যবসা । সন্দ্বীপের মগধরা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্পটে সন্ধার পর নেমে আসে যেন মাদকের হাট। ইউনিয়নের পেলিশ্যার বাজার , সরকারী পুকুর মোড, শীলতলা,ও পূর্বে আদর্শ পাডা কলোনী এসব এলাকায় প্রতিদিন সন্ধার পর থেকে শুরু হয় মাদক কেনা বেচার বানিজ্য। ওপেন সিক্রেটের মতো বিক্রি হচ্ছে মদ গাজা, ফেনসিডাল আর স্পিরিট। এমনকি বিভিন্ন পাডা মহল্লার দোকনগুলেতে বিক্রি হচ্ছে মদ, গাজা। মাদকের এ ছোবলে উঠতি বয়সের ছেলেরা জডিয়ে পডছে বেশি। একটু সন্ধা নামতেই ঘর থেকে বের হতে সাহস করেন না অনেকই। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে বেশ কিছু রাজনৈতিক নেতাদের আশ্রয়ে গডে উঠছে এ মাদকের রমরমা ব্যবসা।আর যার কারনে এলাকার আইন শৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। এই ব্যপারে উপজেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উদাসীনত কে দায়ী করছে এলাকার জনগন
সন্দ্বীপ ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে জোড়া খুনের সাক্ষীর ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি (sandwip jora khuner joban bondi)
Edit
by Dwipeer Alo on Sunday, July 17, 2011 at 2:26pm
সন্দ্বীপ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে গত ১১ জুলাই ১৬৪ ধারায় সাক্ষীর জবানবন্দিতে খাদিজা বেগম সাথী (১১) বলেন, আমি ৩য় শ্রেণীতে পড়ি। ঐ দিন আমি প্রাইভেট পড়ে ঘরে আসি মাগরিবের নামাজের আগে। এসে দেখি আমার ফুফাত ভাই মো. আমির হোসেন পাকের ঘরে বসা। আমার মা আমাকে বিস্কুট চিনি মুড়ি আনতে বলে দোকান হতে। আমি ও আমার ছোট বোন স্মৃতি দোকানে যাই এবং বিস্কুট চিনি মুড়ি আনি। আমার মা ফুফাত ভাই মো. আমির হোসেনকে চা বিস্কুট দেয়। সে আমাকে একটি বটি এনে দিতে বলে। আমি বটি এনে দিই। সে বটি দিয়ে বিস্কুটের খোলা প্যাকেট কাটে। ফুফাত ভাই আমাকে বলে তুমি পড়তে যাও। আমি আমার ছোট বোন স্মৃতি এবং ভাই মারুফ পড়তে বসি। মো. আমির হোসেন আমার ছোট বোন স্মৃতিকে ১৫/১৬ মিনিট পরে ডেকে নিয়ে যায়। আমার বোন স্মৃতি মাগো মাগো বলে দুটি ডাক দিয়েছিল। আমি যায়নি। সে আমার কাছে আসলে তার হাতে রক্ত দেখে জিজ্ঞাসা করি তোমার হাতে রক্ত কেন? সে বলে হাত কেটে গেছে। আমাকে একটি তেনা (ছিড়া কাপড়) দিতে বলে। আমি তেনা (ছিড়া কাপড়) পাইনি দেখে আমাকে সে মারছিল। আমি কান্না করছিলাম। সে আমার ভাই মারুফকে কোপাতে চাইলে আমি হাত বাড়িয়ে দিই। এতে আমার হাতের আঙ্গুল কেটে যায়। তারপর আমি চিৎকার করে দরজা দিয়ে বের হয়ে যাই। এরপর লোকজন আসে। আমাকে বাজারে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। পরে হাসপাতালে নিয়ে যায়। উল্লেখ্য, গত ৭ জুলাই সন্ধ্যা সাতটার দিকে ভাগিনা মো. আমির হোসেন মামী নিলুফা বেগমকে তিন হাজার টাকা দিতে বলে। মামি টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করে। তারপর ভাগিনা, মামীকে ঘরের জিনিসপত্র দিতে বাধ্য করার চেষ্টা করে। এরপর মামী, ভাগিনাকে ডাকাত বলে চিৎকার দেয়ার হুংকার দিলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ঘাতক মো. আমির হোসেন (২২) মামী নিলুফা বেগম (৩২) ও মামাত বোন স্মৃতি (৭)কে বটি দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে খুন করে। শুধু তাই নয় ঘাতক আমির অপর মামাত বোন সাজেদা বেগম সাথী (১১) কেও কুপিয়ে আহত করে। এ বিষয়ে নিহত নিলুফার ভাসুর মো. আবদুল হাই বাদী হয়ে সন্দ্বীপ থানায় ৩০২ ধারায় হত্যা মামলা করে। মামলা নম্বর- ১, তারিখ- ৮ জুলাই। সন্দ্বীপ ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের জিআর নম্বর- ২৭/১১
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)