রবিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৩

কুমিরা ঘাটের ইজারা দৈনিক ২ লক্ষ ৩ হাজার টাকা !!!

"স্পীড বোডের ভাড়া কমানো হবে বলছে ইজারাদার"

নিজস্ব প্রতিবেদন :
সন্দ্বীপের অন্যতম নৌঘাট কুমিরা গুপ্তছড়া রুট গত কয়েক বছর ধরে সীতাকুণ্ডের জনৈক রাজা কাশেমের কাছে ইজারা থাকলে ও এবার ইজারার দৌড়ে এগিয়ে গেল সন্দ্বীপের কিছু ব্যবসায়ীরা, এবার ইজারা প্রাপ্তিতে কাগজে কলমে মোঃ জয়নাল আবেদিন নামে জনৈক এক ব্যাক্তির নাম থাকলেও মুলত এর নেপথ্যে আছেন বিশিষ্ট আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক ইজারাদার মাঈনুদ্দীন মিশন। তাও আবার আগের ইজারা মুল্যের ছেয়ে প্রায় ৩ গুন মুল্য বেশি দিয়ে নিয়ে নিয়েছেন সাবেক এই ইজারাদার। এবারের ইজারার দৌড়ে রাজা কাশেম থাকলেও তার ছায়া হিসেবে আরো একজন ছিলেন সন্দ্বীপের মগধরা ইউনিয়নের জনৈক আনোয়ার হোসেন নামে এক ঘাট ব্যবসায়ী। এবার ঘাটের ইজারা মুল্য সর্বোচ্চ হাকা হয়েছে দুই লক্ষ তিন হাজার টাকা (সরকারি ভ্যাট, শুল্ক সহ) এই বিশাল অংকের ইজারা মুল্য দিয়ে ঘাট সন্দ্বীপের লোকেরা পেলেও প্রশ্ন রয়ে গেছে যাত্রীদের মানসম্মত সেবা আর যুক্তিগত ভাড়া নিয়ে। সন্দ্বীপের মানুষের দীর্ঘদিনের আকাঙ্খা আর নাগরিক সুযোগ সুভিদার অন্যতম চাহিদা এই নৌরুটের দুর্ভোগ লাগভ আর যাতায়াতের সহনীয় ভাড়া নির্ধারণ নিয়ে আমরা সন্দ্বীপ বাসীর ব্যানারে গত কয়েক মাস যাবত নানা আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছিল সন্দ্বীপের মানুষ।আর এই আন্দোলন কে বুড়া আঙ্গুল দেখিয়ে জেলা পরিষদ আবারও অতি উচ্চ মুল্যে ইজারা দিল সন্দ্বীপের অন্যতম এই নৌঘাট টি। ইজারার এতো বেশি মুল্য দিয়ে ঘাট নেওয়ার কারন জানতে চাইলে ইজারাপ্রাপ্ত ব্যবসায়ী মাঈনুদ্দীন মিশন দ্বীপের আলোকে জানান দীর্ঘ দিন ধরে সন্দ্বীপের এই ঘাটটি রাজা কাশেমের হাতে থাকার কারনে তার ইচ্ছেমত সে ভাড়া বাড়িয়ে সন্দ্বীপের মানুষের সাথে জুলুম নির্যাতন করে যাচ্ছে আমরা এর থেকে সন্দ্বীপের মানুষ কে মুক্তি দিতে আর উপযুক্ত ভাড়ায় মানসম্মত সেবা দিতে উচ্চ মুল্যে প্রতিযোগিতার মধ্যে দিয়ে এই ঘাটটি নিয়েছি। শুধুমাত্র সন্দ্বীপের মানুষের যাতায়াতের কথা চিন্তা করে আমরা স্পীড বোডের ভাড়া বর্তমানের ছেয়ে আরো ১০০ টাকা কমিয়ে আনব, দুই দিকে যাত্রী পরিবহনের জন্য সার্ভিসের পরিমাণ আরো বাড়ানো হবে এছাড়া সন্দ্বীপবাসীর মৃত লাশ পরিবহনের জন্য আমাদের সার্ভিস গুলো সম্পুর্ন ফ্রি থাকবে। আমরা বিশ্বাস করি সন্দ্বীপের মানুষ আমাদের উপর আস্থা রাখতে পারবে এই জন্য যে আমরা সন্দ্বীপের মানুষের দুর্ভোগ লাগব করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করব। এইতো গেল ইজারাদারের কথা এই ঘাটটির এমন উচ্চ মুল্যের ইজারার কারনে সন্দ্বীপের সাধারণ মানুষের শঙ্কা আদৌ কতটুকু মানসম্মত সেবা আর উপযুক্ত ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করতে পারবে তার প্রশ্ন কিন্তু রয়েই যায়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন