শুক্রবার, ৩ মে, ২০১৩

"ইসলাম সাহেবের খামার সন্দ্বীপের পুষ্টি যোগায়"

মাত্র দুটি পুকুর নিয়ে ১৯৯৮ সালে যাত্রা শুরু হয়েছিল নিশি গ্রীন ফিল্ডস লিমিটেডেএর। আজ সেই খামার ৩৩টি পুকুর, ৩০০ গরু আর প্রায় দেড় হাজার রকমারি গাছের সমন্বয়ে বিপ্লবই ঘটিয়ে ফেলেছে সন্দ্বীপে। বলা হয়ে থাকে সন্দ্বীপের পুষ্টি চাহিদার ৪০ শতাংশ পূরণ হয় এই খামার থেকে। সন্দ্বীপ তো বটেই এখানকার কর্মকর্তারা এই ইসলামের সাহেবের খামার চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় খামার হিসেবে দাবি করেন। খামারের ম্যানেজার অসীম সেন জানান, পৌরসভার হারামিয়া অংশে ৭০ একর জায়গাজুড়ে গড়ে উঠা এই খামারের পুকুর থেকে গড়ে প্রতিদিন দেড় টন মাছ আহরণ করে বিক্রি করা হয়। বছরে প্রায় সাড়ে ৫শ টন মাছ ধরা হয় এই খামারের ৩৩টি পুকুর থেকে। মাছের মধ্যে রুই, কাতাল, তেলাপিয়া, মৃগেল, পাঙ্গাস, গ্রাসকার্প, কার্প ও ব্রিগেড প্রজাতির মাছ রয়েছে। পাইকাররা নিজেরাই এসে এখান থেকে মাছ নিয়ে যায়। গরুর খামারে আছে প্রায় ৩০০ গাভী, বাছুর আর ষাঁড়। প্রতিদিন ৩০০ লিটার দুধ নিয়ে যায় পাইকাররা। এছাড়া পুরো খামারজুড়েই রয়েছে প্রায় দেড় হাজার গাছ। এরমধ্যে বেশিরভাগ নারিকেল প্রজাতির। এছাড়া লিচু, সফেদা, কাঠাল, সুপারি, কামড়াঙ্গা, হরিতকি ও বেলগাছ। এই বিশেষত্ব হচ্ছে এখানকার কোন জিনিসই সন্দ্বীপের বাইরে যায় না। সন্দ্বীপের চাহিদাকেই প্রাধান্য দেয়া হয়। সন্দ্বীপে এতবড় খামার গড়ার পেছনে রয়েছে তার আবেগের সম্পর্ক। এ প্রসঙ্গে নিশি গ্রীন ফিল্ডস লিমিটেডের চেয়ারম্যান এবং ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম, সন্দ্বীপকে আমি খুব ভালোবাসি। এখানেই আমার বাবা-মায়ের কবর। খামারের সূত্রেই হয়তো আমার ছেলেমেয়েরাও এখানে আসবে। আসলে যারা ছোটবেলা থেকে আমাদের কোলেপিঠে করে মানুষ করেছে তাদের সাপোর্ট দেয়ার জন্যই এই খামার গড়ে তোলা হয়েছে। সন্দ্বীপের পুষ্টি চাহিদার ৪০ শতাংশ পূরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমার সুনির্দিষ্ট ধারণা নেই। তবে অনেকেই এ কথা বলে। ৭০ একরের এই খামারের একটা অংশজুড়ে রয়েছে সবজীর বাগান। যেখানে শীতকালীন প্রায় সব ধরনের শাকসব্জীর চাষই করা হচ্ছে। ম্যানেজার অসীম জানান, প্রতিদিন শুধু ৫০০ টি লাউ বিক্রি করা হয়। আর পুরো খামারটি দায়িত্বে আছে ১৪ জন।

২টি মন্তব্য: