নিজস্ব প্রতিনিধি : দ্বীপের আলো
দেশের মুল ভুখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ এলাকা সন্দ্বীপবার বার বঞ্চিত হচ্ছে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের উন্নয়ন বরাদ্দ থেকে । জেলা পরিষদ যেখানেতুলনামুলক ভাবে উন্নত জনপদ চট্টগ্রাম-১৪ এর অর্ন্তভুক্ত সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলায় বাস্তবায়ন করেছে ৮ কোটি ৭৯ লক্ষ ৩১ হাজার টাকার ৪১১টি প্রকল্প।আর সেখানে চট্টগ্রাম-১৬(সন্দ্বীপ) আসনে ১১২টি প্রকল্পের বিপরীতে বরাদ্দদিয়েছে ৩ কোটি ৬৯লক্ষ ৩ হাজার টাকার উন্নয়ন কাজ। দেশের নুন্যতম নাগরিক সুভিদা থেকে বঞ্চিত এই দ্বীপবাসীর সাথে ও চলছে জেলা পরিষদের এই বৈষ্যমের খেলা । অথচ প্রতি বছর শুধুমাত্র সন্দ্বীপের বিভিন্ন নৌ পথের ঘাট গুলো থেকে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ আয় করছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ।
রবিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১২
"জেলা পরিষদের উন্নয়নে বঞ্চিত সন্দ্বীপ "
"দুবাই এর রাস-আল খাইমাতে সন্দ্বীপী প্রবাসীর প্রতারনা !!!!
মো: তৌহিদুল ইসলাম : (রাস-আল খাইমা প্রতিনিধি, দ্বীপের আলো)
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাস আল খাইমার আল জাজিরায় কর্মরত সন্দ্বীপের মুছাপুরের হিরার গো বাড়ীর মো: আলমগীর নামে এক প্রবাসী দীর্ঘ দিন ধরে সেখানে গাড়ীর ড্রাইবার হিসেবে কাজ করে আসছে এর পাশা পাশি কয়েকবছর ধরে সে বিভিন্ন ভিসার ব্যবসার নামে প্রতারনা করে আসছে নিরহ অনেক সন্দ্বীপীর সাথে। খোজ নিয়ে জানা যায় মো: আলমগীর দীর্ঘ দিন ধরে এই ধরনের প্রতারনার সাথে জড়িত হয়ে এক এক সময় এক এক জায়গায় তার কর্মস্থল পরিবর্তন করে যার কারনে প্রতারিত হয়ে নি:স্ব প্রবাসীরা তার কোন অস্তিত্ব খোজে পায় না । সম্প্রতি সে সন্দ্বীপ বাউরিয়া ইউনিয়নের এক যুবকের কাছে ভিসা বিক্রি করে ভিসার কাগজ পত্র বুঝিয়ে না দিয়ে টাকা গুলো নিয়ে পালিয়ে যায়। এর আগে ও সে অনেক সন্দ্বীপীকে ভিসা দিয়ে সে দেশে নিয়ে দিতে পারিনি সে দেশের পতাকা, ও আমিরাতের আইডি কার্ড। যা কারনে অনেকে গোপনে কাজকরে মানবেতর জিবন যাপন করছে। এই বিষয়ে দ্বীপের আলোর রাস আল খাইমাপ্রতিনিধিকে মুছাপুর এলাকার এক প্রবাসী জানান তিনি ও এই প্রতারকের হাত ধরে দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়ে ভিসা কিনে এই দেশে এসে কোন পতাকা ও আইডি কার্ড না থাকায় পালিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। যার কারনে পরিবারের জন্য ঠিক মতো টাকাও পাঠাতে পারছেন না । সে জানায় আলমগীর প্রতারনা করেছে এই রকম অনেকের সাথে। প্রতারনার জনরোষ থেকে বাঁচতে সর্ব শেষ তার এক শালা এখান থেকে পালিয়ে গেছে। বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা বন্ধ আছে। ভিসা চালু হলে যারা এই দেশে আসতে চান এই ধরনের প্রতারনার হাত থেকে বাঁচতে প্রবাসী সন্দ্বীপীদের অনুরোধ জেনে শুনে যাতে সবাই ভিসা কিনে এবং ভিসার যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করে আসে।
সোমবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১২
"নিজাম ডাকাত বাহিনীর নেতৃত্বে এবার বাহার কেরানী"
জলদস্যু বাহিনী প্রধান নিজাম ডাকাত বৃহস্পতিবার ভোরে র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার পরদিননতুন দায়িত্ব পেয়েছে দস্যুসম্রাট বাহার কেরানী। বাহার কেরানীর বিরুদ্ধে হাতিয়া, চরজব্বর, মনপুরা, সন্দ্বীপসহ বিভিন্ন থানায় ৩০-৩৫টি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। বাহার কেরানীর নতুন কমান্ডারের দায়িত্ব পাওয়ার খবরচরাঞ্চলে পেঁৗছার সঙ্গে সঙ্গে জেলেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।জানা যায়, বাহার কেরানী হাতিয়া উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম সোনাদিয়া গ্রামের মৃত পাটোয়ারীসরদারের ছেলে। বর্তমানে ক্যারিংচরের বাথানখালী গ্রামে তার বাড়ি। সে কখনও লোকালয়ে আসে না; নির্জনে বনবাসে থেকে কাজকর্ম পরিচালনা করে। বাহার কেরানী ২০০৩ সালে বন ও জলদস্যু নিধনের সময় সোলেমান কমান্ডারেরদস্যু বাহিনীর সদস্যছিল। পরে নিহত বাসার মাঝি ও নিজাম বাহিনীর সদস্য হিসেবে যোগ দেয়। এখন নিজামের সদস্যদের সংগঠিত করে ও বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে নিজেই গড়ে তোলে শক্তিশালী বিশাল দস্যু বাহিনী। র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিজাম ডাকাত নিহতহওয়ার পর তার রেখে যাওয়া বাহিনীকে সংগঠিত করে তার সেকেন্ড-ইন-কমান্ড ডাকাত বাহার কেরানী। নিজাম ও বাহার ডাকাতের অত্যাচারে প্রায় ৫০০ ভূমিহীন পরিবার বাস্তুহারা হয়েছে। চাঁদার দাবিতে জেলে ও ভূমিহীনসহ পাঁচ শতাধিক ব্যক্তিকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে।এ ছাড়া তার নেতৃত্বে ৭০টি ধর্ষণ, দুই হাজার বাড়িঘর ভাংচুরও দুই সহস্রাধিক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। দস্যুদের হাতে চরাঞ্চলের প্রায় দুই লাখ ভূমিহীন ও মেঘনা নদীতে প্রায় ৫০ হাজার জেলে জিম্মি।